বৃহৎ দল কংগ্রেস! কর্ণাটক নিয়ে আর কী বলছে এবিপি নিউজ-সিএসডিএস জনমত সমীক্ষা
কর্ণাটকে বৃহৎ পার্টি হিসাবে ফের একবার আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে কংগ্রেস। কিন্তু, এতসত্ত্বেও কর্ণাটকে সরকার গঠনের চাবিকাঠি কংগ্রেসের হাতে থাকছে না। এমনই আভাস দিল এবিপি নিউজ-সিএসডিএস-এর জনমত সমীক্ষা।
কর্ণাটকে বৃহৎ পার্টি হিসাবে ফের একবার আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে কংগ্রেস। কিন্তু, এতসত্ত্বেও কর্ণাটকে সরকার গঠনের চাবিকাঠি কংগ্রেসের হাতে থাকছে না। এমনই আভাস দিল এবিপি নিউজ-সিএসডিএস-এর জনমত সমীক্ষা। এতে আরও দেখানো হয়েছে যে কর্ণাটকে সরকার গঠনের 'কিং মেকারের' ভূমিকা নিতে চলেছে জেডি(এস)-বিএসপি জোট।
জনমত সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে ২২৫ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ৯৭টি আসনে জয়ী হতে পারে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি-র ঝুলিতে যেতে পারে ৮৪টি আসন। 'কিং মেকার' হতে পারে বলে যে সম্ভাবনা এইচ ডি দেবগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার)-কে নিয়ে তৈরি হয়েছে, জনমত সমীক্ষায় তারা ৩৭টি আসন পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোট শেয়ারেও কংগ্রেস অন্যদের থেকে এগিয়ে বলেই জনমত সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে। এবিপি নিউজ-সিএসডিএস-এর জনমত সমীক্ষা বলছে ৩৮ শতাংশ ভোট পেতে পারে কংগ্রেস। বিজেপি-র ঝুলিতে যেতে পারে ৩৩ শতাংশ ভোট। জেডি(এস)-বিএসপি জোটের দখলে যেতে পারে ২২ শতাংশ ভোট।
#ABPOpinionPoll Congress way ahead than BJP in terms of vote share. https://t.co/JQJlKZeiOk pic.twitter.com/WKaiyLjHTW
— ABP News (@abpnewstv) May 7, 2018
কংগ্রেসের ঝুলিতে সবচেয়ে বেশি ভোট কৃষক সমাজ থেকে আসবে বলে জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অন্তত ৪০ শতাংশ কৃষক ভোট কংগ্রেসের ঝুলিতে পড়তে চলেছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কৃষক সমাজের ৩১ শতাংশ ভোট বিজেপি ঝুলিতে যেতে পারে বলেও জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ২০১৫ সালে মহারাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল কর্ণাটকে। কিন্তু, এবিপি নিউজ-সিএসডিএস জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে কংগ্রেস এই ড্যামেজ কোনওভাবে সামাল দিয়ে দিয়েছে। বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে কৃষি ঋণ মুকুবের কথা ঘোষণা করেছে। ক্ষমতায় এলে তারা কৃষকদের কল্যাণে একাধিক প্রকল্প হাতে নেবে বলেও ইস্তেহারে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, তারসত্ত্বেও বিজেপি-র নির্বাচনী ইস্তেহারে আস্থা রাখার চেয়ে কংগ্রেসের প্রতি বিশ্বাস বজায় রাখাটাই শ্রেয় বলে মনে করছে কৃষক সমাজের একটা বড় অংশ।
জনমত সমীক্ষায় ২৯ শতাংশ-ই জানিয়েছেন উন্নয়ন ও পারফরম্যান্সই তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লিঙ্গায়েত ভোটব্যাঙ্কে কংগ্রেস যে এবার ডাহা ফেল তা জনমত সমীক্ষায় জোর ইঙ্গিত মিলেছে। ৬১ শতাংশ লিঙ্গায়েত ভোট বিজেপি-র দিকেই ঝুঁকে রয়েছে বলে জনমত সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে বিজেপি যেভাবে লিঙ্গায়েতদের সংখ্যালঘুর সরকারি তকমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তাতে কংগ্রেসকে এই ভোটব্যাঙ্ক প্রায় মাত দিয়েছে তারা।
সমীক্ষায় আরও ইঙ্গিত যে ২৯ শতাংশ ভোটদাতা কংগ্রেসের সিদ্ধারামাইয়ার পারফরম্যান্সে খুব খুশি। কিন্তু, ৪৩ শতাংশ মানুষ সিদ্ধারামাইয়ার পারফরম্য়ান্সে খুশি প্রকাশ করলেও তাঁদের মনে কিছু প্রশ্ন আছে।
১২ মে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। গণনার দিন ১৫ মে। ২০১৩ সালে কংগ্রেস ১১৩ টি আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। বিজেপি ও জেডি(এস)-এর পেয়েছিল ৫০ ও ৪০টি আসন।
মনে করা হচ্ছে বিজেপি যদি কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসতে না পারলেও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ২০১৩ থেকে কমিয়ে আনতে পারে তাহলে সেটা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের নীতিগত জয় হবে। যেমন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রভাবে বিজেপির আসন কমেছিল এবং রাহুল গান্ধীরা তাকে নীতিগত জয় বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তেমনই পরিস্থিতি কর্ণাটকে কংগ্রেসকে মোকাবিলা করতে হবে কি না তা জানা যাবে ১৫ মে।