সেলফি তুলতে গিয়ে পড়ে গেলেন ৭০০ ফুট গভীর খাদে! তারপর কী হল
সেলফি তুলতে গিয়ে ৭০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পরও নাসিকের এক ব্যক্তি অলৌকিকভাবে রক্ষা পেলেন।
একেই বলে রাখে হরি তো মারে কে! বা এক্ষেত্রে রাখে লক্ষ্মী তো মারে কে। গোয়া থেকে ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ৩৫ বছরের নাসিকের এক যুবক।সিন্ধুদুর্গ জেলার আম্বোলি ঘাটের কাছে এক জায়গায় সেলফি তুলতে গিয়ে তিনি পড়ে যান ৭০০ ফুট গভীর খাদে। কিন্তু তাও বেঁচে গেলেন। তাঁকে উদ্ধার করলো স্থানীয় পুলিশ।
যুবকের নাম সম্পত মাহালে। নাসিক থেকে সপরিবারে তিনি গোয়া ভ্রমণে গিয়েছিলেন। বুধবার বিকেলে গোয়া থেকে ফেরার পথে একটি জলপ্রপাত দেখে তাঁরা গাড়ি দাঁড় করান। সম্পদের পরিবারের বাকি সদস্য ও বন্ধুরা সবাই মিলে ওই জলপ্রপাতের আশপাশের এলাকায় ছবি তুলেছিলেন। সম্পত দাঁড়িয়েছিলেন জলপ্রপাতটির একেবারে ধার ঘেসে থাকা একটি পাথরের ওপর। হটাতই তিনি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান খাদে। চলে যান একেবারে ৭০০ ফুট গভীরে।
সম্পতের স্ত্রী ছায়া সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে ফোন করে সাহায্য চান। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছেও। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয়রাও। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের দক্ষ পর্বতারোহীরাও ছিলেন। তা সত্ত্বেও জায়গাটি এতই দুর্গম, যে দড়ি বেঁধে পাহাড়ে ছাল বেয়ে খাদে নেমে সম্পতকে উদ্ধার করতে প্রায় ৫ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
আশ্চর্যের বিষয় এবড়ো খেবড়ো পাথর ও জঙ্গলে ভরা পাহাড়ের এতটা গভীরে পড়ে গিয়েও কিন্তু সামান্য কাটাছড়া ছাড়া অক্ষতই রয়েছেন সম্পত। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বাড়ি ফিরে নাসিক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলেও কোনও গুরুতর আঘাত পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের প্রচেষ্টায় সম্পতকে উদ্ধার করা গেলেও তাঁকে ফিরে পাওয়ার সব কৃতিত্ব ভগবান মহালক্ষ্মীকেই দিয়েচেন ছায়া মাহালে। তিনি জানান, 'আমরা কোলাপুরে মা মহালক্ষ্মীর মন্দিরেই পুজো দিতে যাচ্ছিলাম। পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মহালক্ষ্মীর কৃপাতেই আমার স্বামী এ যাত্রা বেঁচে ফিরেছে।'