কলকাতার পর মুম্বই, করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পর শেষকৃত্যে বাধা!মুসলিম ব্যক্তিকে পোড়ানো হল শ্মশানে
করোনা ভাইরাসে মৃত্যু পর শেষকৃত্যে ধর্ম কোনও বাধা নয়। গত কয়েকদিনে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে, মৃত হিন্দু ব্যক্তিকে শ্মশানে পোড়াতে যেমন বাধা দেওয়া হচ্ছে, তেমনই মৃত মুসলিমকে কবর দিত
করোনা ভাইরাসে মৃত্যু পর শেষকৃত্যে ধর্ম কোনও বাধা নয়। গত কয়েকদিনে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে, মৃত হিন্দু ব্যক্তিকে শ্মশানে পোড়াতে যেমন বাধা দেওয়া হচ্ছে, তেমনই মৃত মুসলিমকে কবর দিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। মুম্বইয়ের মৃত মুসলিম ব্যক্তির ক্ষেত্রে অবশ্য পরিবারের লোকেরা শেষ পর্যন্ত দাহ করতেই মত দেন।
মুম্বইয়ে মৃত মুসলিম ব্যক্তিকে কবরে বাধা
করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে, এই আশঙ্কায় মালাডের এক কবরস্থানে এক মৃত মুসলিম ব্যক্তির কবরে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যোগেশ্বরীর হাসপাতালে মৃত্যু হয় মালওয়ানির এর প্রৌঢ়ের। তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় চারকপের কবরস্থানে। মৃতের ছেলে জানিয়েছেন, বিএমসি এবং পুলিশ সহযোগিতা করলেও, দেহ প্লাস্টিকে মোড়া থাকায় তা কবর দিতে অস্বীকার করে। স্থানীয় এক রাজনীতিবিদের তরফে কবরস্থানের ট্রাস্টিদের সঙ্গেও কথা বলা হয়। যদিও তাতেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি।
দেহ দাহ করা হয় শেষপর্যন্ত
পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে, স্থানীয় কয়েকজন সমাজকর্মীর চেষ্টার ওই প্রৌঢ়ের দেহ হিন্দুদের শ্মশানে দাহ করা হয়। এতে পরিবারও মত দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
নির্দেশকে উপেক্ষা করবস্থানে
বিএমসি-র তরফ থেকে বলা হয়েছিল করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হলে হাসপাতালের কাছাকাছি শ্মশান কিংবা কবরস্থানে শেষকৃত্য করতে হবে। এক্ষেত্রে কবরস্থান কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশ অমান্য করেছে।
কলকাতায় একের পর এক বাধা
কলকাতায় একের পর এক শ্মশানে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পর শেষকৃত্যে বাধা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হয় দমদমের এক ব্যক্তির। তাঁকে নিমতলা শ্মশানে পোড়াতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে ধাপায় ২৫ বছর আগে গড়ে তোলা অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদের পোড়ানোর জন্য যে শ্মশান তৈরি করা হয়েছিল, সেখানেই করোনায় মৃতদের দাহ করার বন্দোবস্ত করা হয়। যদি সেক্ষেত্রে ধাপার আশপাশের বাসিন্দারা এতে বাধা দেন। পরে অবশ্য ধাপাতেই তিনজনকে দাহ করা হয়। এর মধ্যে আড়িয়াদহ শ্মশানেও মৃত করোনা আক্রান্তের দাহ করতে বাধা দেওয়া হয়।