কেরালার এই ধানের জাতটি আম্ফান-বিধ্বস্ত বঙ্গে সোনা ফলাতে পারে কৃষকের ঘরে
সুদূর কেরালার কিছু ধানের জাতে নতুন জীবন পেতে পারে বাংলার ক্ষেত-খামার। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন-সহ বিস্তীর্ণ অংশ যেভাবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব পড়েছে, সেখানে এই ধান উপকারী।
সুদূর কেরালার কিছু ধানের জাতে নতুন জীবন পেতে পারে বাংলার ক্ষেত-খামার। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন-সহ বিস্তীর্ণ অংশ যেভাবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব পড়েছে, যেভাবে ধানের ক্ষেতকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে, সেখানে কেরালার বিশেষ প্রজাতির এই ধানের জাতটি বাংলার কৃষকদের ঘরে সোনার ফসল ফলাতে পারে।
২০২০-র মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সুপার সাইক্লোন আম্ফান বাংলায় ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। বিশেষত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় প্রবল ক্ষতি হয়েছে চাষাবাদ। ক্ষেতগুলিতে মাটির কাঠামোয় পরিবর্তন আসার ফলে বাঁধ ভেঙে গেছে। এই অবস্থায় নতুন দিশা দেখাতে পারে কেরালার বিশেষ এই চাষ।
ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি বা বিএসএস-এর সহায়তায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে কৃষিকাজে উন্নতির লক্ষ্যে একটি কাজ করা হয়। কেরালার পোক্কালি ধানের ৫ কেজি চারা জুনের গোড়ার দিকে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। তা বপন করা হয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কঙ্কনদিঘি গ্রামে। কৃষকরা এ থেকে ভাল ফল পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিএসএসের কেরালার সহ-সভাপতি ফ্রান্সিস কলথঙ্গল বলেন, আমরা নিয়মিত পোকালি ধান চাষের উপকার নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষত সমুদ্রের নিকটবর্তী উপকূলীয় গ্রামগুলিতে এর উপকার লক্ষ্যণীয়। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে বিএসএসের পশ্চিমবঙ্গের সদস্যরা ধানের জমিতে লবণাক্ত জল প্রবেশের বিষয়টি উত্থাপিত করেছিলে্ন। আমরা পোক্কলি ধান নিয়ে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কালথুঙ্গলের পোক্কালি ধানকে ভালোবেসে ফেলেছেন। যেহেতু তাঁর পরিবার বহু দশক ধরে আরব সাগর এবং ব্যাকওয়াটারের মাঝখানে কোচির স্যান্ডউইচড কাছের গ্রাম চেলানামে চাষ করে আসছে। জিআই-ট্যাগযুক্ত ধান মূলত আলাপুজা জেলার চের্থলা তালুক, এর্নাকুলাম জেলার কোচি-কানায়নুর-পারাভুর তালুক এবং ত্রিশুর জেলার কোডুঙ্গালুর তালুকের উপকূলীয় অঞ্চলে চাষ হয়।