
১০০ কেজির কেক কেটে প্রিয় পোষ্যের জন্মদিন পালন, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিন কিছু না কিছু অভিনব জিনিস ভাইরাল হয়। কিছু কিছু ঘটনায় নেটিজেনরা অবাক হয় তো কিছু ঘটনায় নেটিজেনরা সমালোচনা করেন। কখনও হাসির কোনও ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তো কখনও ভাইরাল ভিডিও নেটিজেনদের কাছে প্রশংসিত হয়। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে নিজের পোষ্য কুকুরের জন্য ১০০ কেজি কেট কাটলেন এক ব্যক্তি। পোষ্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা নতুন নয়। কিন্তু তার জন্মদিনে ১০০ কেজির কেক কাটায় বিস্মিত নেটিজেনরা।ঘটনাটি কর্ণাটকে ঘটেছে।

শিবপ্পা ইয়েল্লাপ্পা মারাডি নামে কর্ণাটকের বেলাগাভির এক বাসিন্দা তাঁর পোষ্য কুকুর কৃষের জন্য এক বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পোষ্যের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের একটি অংশ ভাইরাল হয়। সেখানে সকলের সামনে পোষ্যকে দিয়ে কেক কাটান মারাডি। নিজের পোষ্যের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেখাতেই তিনি ১০০ কেজির কেক আনেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সকলের মাঝখানে পোষ্য কৃষকে কোলে নিয়ে কেক কাটছেন ওই ব্যক্তি। কেক কাটার সময় আমন্ত্রিতদের হাততালি দিয়ে কৃষকে উৎসাহ দিতে দেখা যায়। পোষ্যের মাথাতে বেগুনি রঙের জন্মদিনের একটি টুপিও রয়েছে। ওই ব্যক্তি তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় কৃষের জন্মদিনে প্রায় চার হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
পোষ্যের জন্মদিনে এমন এলাহি আয়োজন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কেউ বলছেন, 'আমাদের বাড়িতেও পোষ্য কুকুর রয়েছে। কিন্তু তার জন্মদিনে আমরা ১০০ কেজির কেক বা চার হাজার জনকে নিমন্ত্রণের কথা কল্পনা করতে পারি না।' আবার কেউ বলছেন, 'কৃষকে বিশেষ অনুভূতি দেওয়ার জন্য জন্মদিনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেটা কি কৃষ আদৌ বুঝতে পেরেছে?' কোনও নেটিজেন আবার কৌতুক সুরে বলেছে, 'লাকি কৃষ।' কেউ আবার কৃষকে 'সুপার কিউট' বলেও উল্লেখ করেছেন।
পোষ্যের প্রতি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। একাধিক বার সংবাদের শিরোনামে পোষ্যের ভালোবাসাকে কেন্দ্রকে মর্মস্পর্শী ঘটনা উঠে এসেছে। সম্প্রতি কুকুরের সঙ্গে মানুষের বন্ধন, পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে '৭৭৭ চার্লি' নামের একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ইতিমধ্যে সেই সিনেমা দর্শকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
রক্ষিত শেট্টি কন্নড় সিনেমা '৭৭৭ চার্লি'-তে নির্যাতিত একটি কুকুরের গল্প উঠে এসেছে। কিরণরাজ কে '৭৭৭ চার্লি' সিনেমার গল্পের লেখক ও পরিচালক। এটাই তাঁর প্রথম সিনেমা। সিনেমাটিতে দেখা যায়, নির্যাতনকারীর হাত থেকে কোনও রকমে পালিয়ে যায় কুকুরটি। এরপরেই চালচুলোহীন এক ব্যক্তির বাড়িতে কুকুরটি আশ্রয় পায়। সিনেমায় উঠে এক কুকুরের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বের কাহিনী।