কাবুলে শিখ সম্প্রদায়ের উপর হামলায় জড়িত আইএস জঙ্গি ছিলেন কেরালার দোকানদার
কাবুলে শিখ সম্প্রদায়ের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত চার সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন হল ৩০ বছর বয়সী এক দোকানি।
কাবুলে শিখ সম্প্রদায়ের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত চার সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন হল ৩০ বছর বয়সী এক দোকানি। চার বছর আগে কেরালার ওই দোকানদার অন্য ১৪ জন যুবকের সঙ্গে আইএসে যোগদানের জন্য পালিয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার ইসলামিক স্টেট আফগানিস্তানে আত্মঘাতী হামলাকারী আবু খালিদ আল-হিন্দির একটি ছবি প্রকাশ করে।
কাবুলের একটি শিখ মাজারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ২৫ সদস্যকে হত্যা করেছিল। সেই চার সদস্যের দলেই ছিল কেরালার ওই দোকানী। সূত্রের খবর, আল হিন্দি আসলে কেরালার কাসারগোডের পাদনে অঞ্চলের দোকানদার মহম্মদ সাজিদ কুথিরুল্ম্মাল, ২০১৯ সালের এনআইএ মামলায় তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি হয়েছিল।
কেরালার কাসারগোদ থেকে আসা এক দম্পতি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তার ৩০ বছরের ছেলে আবদুল রশিদ তার স্ত্রী আয়িশা এবং সন্তানের সাথে প্রায় দু'মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। একই সময়ে সাজিদসহ নিখোঁজদের আরও ১৪টি মামলা একই থানায় নথিভুক্ত হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে নিখোঁজ ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ প্যান-ইসলামবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ায় বা আইএসআইএস যোগ দিতে ভারত ত্যাগ করেছিল।
এনআইএ তদন্তে জানা গেছে যে ২০১৫ সাল থেকে আবদুল রশিদ, ইয়াসমিন এবং অন্যান্যরা কেরালায় এবং ভারতের অন্যান্য জায়গায় আইএসআইএসের বিস্তারে কাজ করার জন্য জড়িত ছিল। সাজিদসহ ১৫ জন আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে সন্ত্রাসবাদ গ্রুপে যোগ দিতে ভারতের কেরালা থেকে পালিয়ে এসেছিল। যদিও এনআইএ সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল না করলেও তাকে মামলার আসামী ও পলাতক হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।