হিন্দু দোকানদারের শিরশ্ছেদ! সোশ্যাল মিডিয়ায় নূপুর শর্মার পোস্টকে দায়ী করে ভিডিও বার্তা
হিন্দু দোকানদারের শিরশ্ছেদ! সোশ্যাল মিডিয়ায় নূপুর শর্মার পোস্টের জেরে নৃশংসকাণ্ড
নৃশংস খুন! সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেল নির্মম খুনের ঘটনা। একজন হিন্দু দোকানদারকে দুই ব্যক্তি খুন করলেন, তাঁর শিরশ্ছেদ করা হল। চাঞ্চল্যকর ও মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটল রাজস্থানের উদয়পুরে। অন্য একটি পৃথক ভিডিওতে দুই অভিযুক্ত স্বীকারোক্তি, নূপুর শর্মার পোস্টের জেরে এই হত্যা।
দোকানদারের আট বছর বয়সী ছেলে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে একটি পোস্ট ফলো করেছিলেন। তার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে হত্যাকারীরা তা ফলাও করে জানিয়েছে ভিডিও বার্তায়। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা সম্প্রতি নবি মহম্মদ সম্পর্কে তাঁর বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য শিরোনামে উঠে আসেন। তার জেরে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে।
মঙ্গলবার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে দুই ব্যক্তি উদয়পুরে একটি দর্জির দোকানে ঢুকে ছুরি নিয়ে তার ওপর হামলা চালাচ্ছে। দুজনের পোস্ট করা পৃথক ভিডিওতে, দুজনকে হত্যার কথা স্বীকার করতে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুমকি দিতেও শোনা গিয়েছে।
তৃতীয় ভিডিওতে আবার দুজন ব্যক্তির একজনকে মঙ্গলবার উদয়পুরের নৃশংস ঘটনার মতো একটি কাজ করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে শোনা যায়৷ ওই ভিডিওটি গত ১৭ জুন রেকর্ড করা হয়েছিল। মঙ্গলবার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে তা সামনে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত খুনিদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের খোঁজ চলছে।
উদয়পুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, "একটি জঘন্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। কয়েকজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ একটি দল গঠন করা হয়েছে। আমরা ভিডিওটির বিষয়েও যথাযথ ব্যবস্থা নেব।"
এই খুনের ঘটনায় উদয়পুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি উদয়পুরে যুবকের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পুলিশ এই অপরাধের শেষ পর্যন্ত তদন্ত করবে। আমি সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।" গেহলট এক টুইট বার্তায় এ কথা বলেছেন।
উদয়পুরে এই নৃশংস ঘটনার পর হিন্দু সংগঠনগুলি উদয়পুরজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা হিংসাত্মক এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় জেলাশাসক তারাচাঁদ মীনা এবং পুলিশ সুপার মনোজ চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।