করোনার নয়া স্ট্রেনের আতঙ্ক! জেনে নিন 'বিলাতি কোভিড'-এর ৭টি উপসর্গ কী কী
করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ নিয়ে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। সেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে কলকাতাতেও। গত রবিবার সকালে লন্ডন থেকে কলকাতায় কোভিডের উপসর্গ নিয়ে এসেছেন দুই যুবক। যদিও জানা গিয়েছে সেই যুবকদের শরীরে ব্রিটেনে আতঙ্ক ছড়ানো না করোনার স্ট্রেনের চিহ্ন মেলেনি। তবুও দেশ আগের থেকে সতর্ক এই নয়া করোনার বিরুদ্ধে।
যুক্তরাজ্য থেকে আগত ফ্লাইট বন্ধ
ব্রিটেনের যা পরিস্থিতি সেই কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ যুক্তরাজ্য থেকে আগত ফ্লাইট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সেই একই পথে হেঁটেছে ভারতও। তবে তার আগেই পাঞ্জাবে ব্রিটেন ফেরত ২০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। যদিও কেন্দ্রের দাবি, দেশে নয়া করোনা স্ট্রেন মেলেনি এখনও।
আগের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি শক্তিশালী
চিকিৎসকেরা বলছেন যে নতুন ধারার এই ভাইরাস আগের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি শক্তিশালী। এবং সেই অনুপাতেই সংক্রমণের দিক থেকে এটি অনেক বেশি বিধ্বংসী। এই আবহে সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে যে করোনার নতুন ধারার উপসর্গ কি আলাদা? তবে প্রাথমিক পরীক্ষার পর এখনও পর্যন্ত আলাদা কোনও উপসর্গের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
উপসর্গ কী কী
যেহেতু আগের উপসর্গ ধরেই এই ভাইরাসের সংক্রমণকে চিহ্নিত করা হচ্ছে, সেই জন্য এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ধারাতেও জ্বর, সর্দি-কাশি, বুকে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, স্বাদ আর গন্ধ হারিয়ে ফেলা, শ্বাসকষ্ট- এই উপসর্গগুলো ধরেই রোগ শণাক্তকরণের কাজ চলছে।
পৃথক আইসোলেশনে পাঠানো হবে করোনা রোগীদের
৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনের সঙ্গে সমস্ত উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার ব্রিটেন থেকে আগত যাত্রীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল জারি করল কেন্দ্র। আগত প্রত্যেক বিমানযাত্রীকে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। যাঁদের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেনের হদিস মিলবে, তাঁদের পৃথক আইসোলেশনে পাঠানো হবে। যে যাত্রীর শরীরে ভাইরাসের হদিস পাওয়া যাবে, তাঁর সহযাত্রীদের প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে।
স্ট্রেনটিতে ১৭টি পরিবর্তন
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এই স্ট্রেনটিতে ১৭টি পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সবথেকে বড় যে পরিবর্তনটি এসেছে তা হল এটির সংক্রমণ ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেশি এবং একজনের থেকে অন্যের শরীরে আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি দেখা যায়, কারোর শরীরে পুরানো ভাইরাস রয়েছে, তাহলে বর্তমানে যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে সেভাবেই চলবে। সেক্ষেত্রে তাঁর শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে হোম আইসোলেশনে বা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল
এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেন থেকে বা ব্রিটেনের কোনও বিমানবন্দর হয়ে যে সকল যাত্রী ভারতে এসেছেন তাঁদের সকলের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল জারি করেছে কেন্দ্র। শেষ চার সপ্তাহ অর্থাৎ, ২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগত বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে এই এসওপি প্রযোজ্য হবে। এই সময়ের মধ্যে আগত প্রত্যেক যাত্রীকে তাঁদের শেষ ১৪ দিনের ট্রাভেল হিস্ট্রি জানাতে হবে। একটি সেল্ফ ডিক্লেয়ারেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। বিমানবন্দরে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। যদি কারও শরীরে কোরোনার হদিস মেলে তবে তাঁদের স্পাইক জিন-বেসড আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো হবে।