ভুল ট্রেন চেপে দিল্লি এসে অপহরণ, ধর্ষণের পরে বিক্রি হয়ে গেল ১৫ বছরের কিশোরী
ছত্তিশগড় থেকে ভুল ট্রেন চেপে দিল্লি এসে গিয়েছিল ১৫ বছরের মেয়ে। আর তারপরে তাঁকে অপহরণ করে, ধর্ষণ করে এক মহিলার সাহায্যে বেচে দেওয়া হল এক ব্যক্তির কাছে।
নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি : ছত্তিশগড় থেকে ভুল ট্রেন চেপে দিল্লি এসে গিয়েছিল ১৫ বছরের মেয়ে। আর তারপরে তাঁকে অপহরণ করে, ধর্ষণ করে এক মহিলার সাহায্যে বেচে দেওয়া হল এক ব্যক্তির কাছে। তবে তাকে উদ্ধার করেছে দিল্লি মহিলা কমিশন।[চেন্নাই এক্সপ্রেস-এর প্রযোজকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ]
মেয়েটিকে অপহরণের ঘটনায় দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির হুমায়ুন সৌধের কাছ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।[নাবালিকা ধর্ষণে গ্রেফতার মেঘালয়ের বিধায়ক]
পুলিশ জানিয়েছে, গতবছরের অক্টোবরে আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে ছত্তিশগড়ে ট্রেনে চড়েছিল কিশোরী। তবে ভুল করে অন্য ট্রেনে উঠে দিল্লি চলে আসে।[ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় নির্যাতিতা হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে]
দিল্লি স্টেশনে নেমে তার এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। তার নাম আরমান। সে জলের বোতল বিক্রি করছিল। আরমানই কিশোরীকে সরাই কালে খানের কাছে নিয়ে গেলে সেখানে সে স্ত্রী বাসিনার মদতে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।[ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী]
পুলিশ জানিয়েছে, এরপরে কিশোরীকে পাপ্পু যাদবের কাছে নিয়ে ৭০ হাজার টাকায় বেচে দেওয়া হয়। পাপ্পু মেয়েটিকে বিয়ের নামে বাড়িতে প্রায় ২ মাস আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায়। সেই বাড়ি থেকে কিশোরী পালিয়ে হজরত নিজামুদ্দিন রেল স্টেশনে পৌঁছলে হাসিনার সঙ্গে ফের দেখা হয়ে যায় তার।
হাসিনা মেয়েটিকে নেশার পানীয় খাইয়ে ফের ২২ বছর বয়সী মহম্মদ আফরোজের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর সেখানে আফরোজ কিশোরীকে ফের ধর্ষণ করে। তবে এবার মেয়েটিকে সাহায্যে রাস্তার এক আগন্তুক এগিয়ে আসে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে সরাই কালে খান, পাপ্পু যাদব ও মহম্মদ আফরোজকে গ্রেফতার করে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে।