সিংহের মুখ থেকে 'বন্ধু'-কে রক্ষা, গুজরাতের এই কুকুর আস্থা দিল বিশ্বস্ততায়
গুজরাতের সাভারকুন্ডলা জেলার অম্বার্দি গ্রামে এক মেষপালক প্রাণে বাঁচলেন তাঁর কুকুরের জন্য। গ্রামের বাহিরে ভেড়া ও ছাগল চড়াতে গিয়ে সিংহের আক্রমণে পড়েছিলেন। কুকুরের ডাকে গ্রামবাসীরা এসে বাঁচায়।
দেশে যখন 'মানুষ' বন্ধুর আকাল পড়ছে, আবারও প্রমাণ হয়ে গেল কুকুরই মানুষের সেরা বন্ধু। শনিবার ভেড়া চড়াতে গিয়ে তিন তিনটি সিংহের মুখে পড়েছিলেন গুজরাতের রাজকোটের কাছের এক গ্রামের এক ব্যক্তি। বেঁচে গেলেন তাঁর কুকুরের জন্য। সামান্য কাটাছড়ার উপর দিয়েই রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
ওই ব্যাক্তির নাম ভবেশ হামির ভারওয়াদ। বছর ২৫-এর ভবেশ থাকেন আম্রেলির সভরসুন্দলা জেলার আম্বার্দি গ্রামে। ভেড়া-ছাগল চড়িয়েই রোজগার। শনিবারও গ্রামের বাইরে সেকাজেই গিয়েছিলেন। হঠাতই তিনটি সিংহ ঝাঁপিয়ে পড়ে ভেড়া-ছাগলের পালের উপর। তাদের বাঁচাতে যান ভবেশ। পাল্টা একটি সিংহ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপরই।
ভবেশের ভবলীলা সাঙ্গই হয়ে যেত যদি সঙ্গে তাঁর পোষা কুকুরটা না থাকত। সিংহটা ভবেশকে আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গেই কুকুরটা তীব্র চিতকার জুড়ে দেয়। সাধারণ ভাবে কুকুর যেভাবে ডাকে তার চেয়ে একটু আলাদাই ছিল তার সেই বিপদের ডাক, বলে জানা গিয়েছে। যা কানে গিয়েই গ্রামের লোকেদের সন্দেহ হয়।
কিছু একটা ঘটেছে ভেবেই তারা গ্রামের বাইরে ওই স্থানে আসেন। ততক্ষণে সিংহটা ভবেশের উপর চেপে বসে তাকে থাবা মারার চেষ্টা করছে, আর ভবেশ প্রাণপনে তা এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু একসঙ্গে বেশ কয়েকজন মানুষকে দেখে সিংহগুলি চম্পট দেয় পাশের বনে।
গ্রামবাসীরাই ভবেশকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর পিঠে ও হাতে চোট লাগলেও আঘাত সেরকম গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সিংহগুলি তাঁর তিন-তিনটি ভেড়াকে মেরে ফেলেছে। গ্রামবাসীরা পুলিশ ও বন দপ্তরকে খবর দিয়েছএন। তাঁদের আশঙ্কা সিংহগুলি আবার গ্রামে হানা গিতে পারে। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই বলছেন, কুকুরটি ওভাবে না ডাকলে ভবেশের মৃত্যু অবধারিত ছিল।