মুম্বইয়ের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন! ধোঁয়ায় ঢাকল আবাসন, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
মুম্বইয়ের বহুতলে বিধ্বংসী আগুনে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার ভোরে মুম্বইয়ের ভাটিয়া হাসপাতালের কাছে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাতে কমপক্ষে দু’জন নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মুম্বইয়ের বহুতলে বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার ভোরে মুম্বইয়ের ভাটিয়া হাসপাতালের কাছে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাতে কমপক্ষে দু'জন নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। পরক্ষণেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় সাত। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর তারদেও এলাকার নানা চকের কমলা বিল্ডিংয়ের ১৮ তলায় আগুন লাগে।
মুম্বই ফায়ার ব্রিগেড এটিকে লেভেল-৩ ফায়ার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আগুন নেভানোর জন্য ১৩টি দমকল ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ করছে। আহতদের ভাটিয়া হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আরও তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি অন্তত ১২ জন সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। মৃতের সংখ্যা পরে বেড়ে হয় সাতজন।
ভাটিয়া হাসপাতালের উল্টো দিকে কমলা বিল্ডিংয়ের আবাসনে আগুন লাগে। তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আবাসনে। কোলা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। দমকলের তরফে জানানো হয় এটা তৃতীয় স্তরের বিধ্বংসী আগুন। স্বাভাবিক কারণেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আবাসনের বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয় তৎপরতার সঙ্গে। তবু অনেকেই আটকে পড়েন আবাসনে।
বৃহন্মুম্বই প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকার্যে চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন এতটাই বেশি ছিল যে বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যা। দমকল ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। কাজ করেছে পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্স। মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেদনেকর জানিয়েছেন, যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাদের মধ্যে ছজনের বয়স বেশি। তাদের অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়েছে।
দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ধোঁয়ার কারণে সমস্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্টের মুখে পড়েছে আবাসনের বাসিন্দারা। এই ধোঁয়া কাটাতেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৩টি দমকল ছাড়াও ১২টি অতিরিক্ত জলের ট্যাঙ্কের সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে জানান দমকল আধিকারিকরা।
মিডল ও ইস্ট ওয়ার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বলেন, কম করে আবাসনের ১৫টি ফ্ল্যাটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ফ্ল্যাটগুলি। তবে ওই ফ্ল্যাটগুলির বেশিরভাগই গোডাউন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেওই আবাসনটি লিজে দেওয়া ছিল। সেখানে গোডাউন করে অনেকে ব্যবসা চালাতেন।
আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট হয়নি। দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর খতিয়ে দেখা হবে কী থেকে আগুন লাগতে পারে। এখন আগুন নেভানোই আশু কর্তব্য মনে করে দমকলকর্মী ও পুলিশকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এতটাই বিধ্বংসী আগুন যে তা নেভাতে সময় লাগবে। তবে আগুন অ্যারেস্ট করা সম্ভব হয়েছে।