শেহালা রশিদকে আগাম গ্রেফতারির নোটিশ দিতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ আদালতের
ভারতীয় সেনার মানহানির মামলায় জেএনইউর প্রাক্তন ছাত্রনেতী শেহালা রশিদকে ১০ দিনের আগাম গ্রেফতারির নোটিশ দিতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিল দিল্লির একটি আদালত। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-ক ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রদোহিতার মামলাও রুজু করা হয়েছে।

কিছুদিন আগেই শেহালাকে একটি টুইট পোস্টে ভারতীয় সেনার কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায়। ওই টুইট বার্তায় তিনি লেখেন ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর ভারতীয় সেনা উপত্যকায় নাগরিকদের উপর ব্যাপক "নির্যাতন" ও “লুঠতরাজ” চালায়।
১৭ই আগস্ট একাধিক টুইটের বার্তায় আদতে শ্রীনগরের বাসিন্দা শেহেলা আরও অভিযোগ করে বলেন, “ ওই দিন শোপিয়ানের একটি সেনা শিবিরে চারজনকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতনও করা হয়।” শেহালা আরও দাবি করেন “ওই সময় ওই চার জনের মুখের কাছে একটি মাইক ধরা হয় যাতে পুরো অঞ্চল তাদের আর্তনাদ শুনতে পায় এবং এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি কার যায়।"
অন্যদিকে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়ে 'দেশ বিরোধী স্লোগান’ ওঠার প্রসঙ্গে উত্তাল হয় সাড়া দেশ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দানা বাঁধতে থাকে একের পর এক বিতর্ক। সেই সময় ছাত্র আন্দোলনের মুখ হিসাবে দেখতে পাওয়া যায় শেহালা রশিদকে। পরবর্তীকালে প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়সালের শুরু করা জম্মু ও কাশ্মীর গণআন্দোলনে (জেকেপিএম) যোগ দেন তিনি।