মোদীর দল শাসিত রাজ্যে হোটেল ভেঙে মৃত ১০, মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে হোটেল ভেঙে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা নিয়ে সন্ধান চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে হোটেল ভেঙে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা নিয়ে সন্ধান চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। ইন্দোরের জেলাশাসক ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৯.১৭ নাগাদ একটি গাড়ি তিনতলা ওই হোটেলটিতে গিয়ে ধাক্কা মারে। এরপরেই পুরো হোটেলটি ভেঙে পড়ে।
ঘটনার পরে স্থানীয়রাই উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ উদ্ধার কাজে ভারী যন্ত্র কাজে লাগানো হয়। এর পরেই সেখান থেকে দশজনকে উদ্ধার করা হয়। এঁদেরকে স্থানীয় এমওয়াই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আটজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। টুইট করে তিনি বলেছেন, উদ্ধার কাজে নজর রাখা হচ্ছে।
Indore: Three-storey building being demolished for safety reasons after a nearby building collapsed & claimed 10 lives yesterday. #MadhyaPradesh pic.twitter.com/flM1ZF4kX8
— ANI (@ANI) April 1, 2018
ইন্দোরের সারওয়াতে বাস স্ট্যান্ডের কাছেই এমএস হোটেল। শহরের অন্যতম জনবহুল এলাকা। ডিভিশনাল কমিশনার সঞ্জয় দূবে জানিয়েছেন, একটি গাড়ি গিয়ে হোটেলের পিলারে ধাক্কা মারে। আগে থেকেই হোটেলটি খারাপ অবস্থায় ছিল। ধাক্কার জেরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে হোটেলটি। হোটেল ছাড়াও বাড়িটিতে দোকান ছিল। এমন কী হোটেলের সামনে হকারদের স্টলও ছিল।
স্থানীয় একটি পানের দোকানের মালিক অনিল জানিয়েছে, হোটেলটিতে অনেক ছাত্র থাকত। প্রথমে হোটেলটির ডান দিকের অংশ ভেঙে পড়ে অটো পার্টসের দোকান এবং এটিএম-এর ওপর। এরপরেই পুরো হোটেলটি ভেঙে পড়ে।
হোটেল ভেঙে পড়ার পরেই গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। রাতের আকাশে উড়তে থাকে ভাঙা বাড়ির ধুলো। সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্ক উপেক্ষা করে প্রায় শখানেক লোক উদ্ধার কাজে হাত লাগান।
এমএস হোটেলটি খারাপ অবস্থায় থাকলেও, ইন্দোর মিউনিসিপাল কর্পোরেশন থেকে আদৌ কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।