হুগলির চাষির ছেলের নেতৃত্বেই পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-২
শৈশবে বাবা নাম রেখেছিলেন সূর্যকান্ত। স্কুলের শিক্ষকরা পরামর্শ দেন। সূর্য নন, চন্দ্রকান্ত নাম রাখা হোক। সেই থেকেই নাম রাখা হয়েছিল চন্দ্রকান্ত।
শৈশবে বাবা নাম রেখেছিলেন সূর্যকান্ত। স্কুলের শিক্ষকরা পরামর্শ দেন। সূর্য নন, চন্দ্রকান্ত নাম রাখা হোক। সেই থেকেই নাম রাখা হয়েছিল চন্দ্রকান্ত। হুগলির সেই চাষির ছেলে চন্দ্রকান্তই এখন ইসরোর বড় বিজ্ঞানী। তাঁর নেতৃত্বেই পাড়ি দিল চন্দ্রযান-২।
রাজ্যের খুব কম মানুষই জানেন চন্দ্রকান্তর এই কৃতিত্ব। আজ হয়তো এই নিয়ে গর্ব করছেন অনেকে। কিন্তু যেদিন ত্রুটি ধরা পড়ার পর পিছিয়ে গিয়েছিল চন্দ্রযানের উৎক্ষেপন সেদিন কিন্তু পরিবারের লোকেদের মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। চন্দ্রকান্তর বাবা মধুসূদন কুমার জানিয়েছেন, যেদিন পিছিয়ে গেল উৎক্ষেপন সেদিন মন খারাপ হয়েগিয়েছিল আমাদের। কিন্তু পরে আবার নতুন করে আশা জাগতে শুরু করে। আমি গর্বিত আমার ছেলে এরকম একটা অভিযানের সঙ্গে যুক্ত।
চন্দ্রকান্ত উপগ্রহের গ্রাউন্ড স্টেশনের অ্যান্টেনা সিস্টেম ডিজাইন করেছেন। চন্দ্রযান-১এর অ্যান্টেনা সিস্টেমও ডিজাইন করেছিলেন তিনি। জিস্যাট-১ এবং অ্যাস্ট্রোস্যাটেরও অ্যান্টেনা সিস্টেমের প্রোজেক্ট ম্যানেজার ছিলেন চন্দ্রকান্ত। আর চন্দ্রযান-২য়ের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। চন্দ্রযান-২যের আরএফ সিস্টেপ পুরোটাই তৈরির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ছেলে যে ইসরোর ইঞ্জিনিয়ার হবেন সেটা কোনওদিন ভাবতেও পারেননি তাঁর বাবা। মধুসূদন বাবু জানিয়েছেন, কোনওদিন তিনি ছেলেকে পড়ানোর সময় পাননি। সারাদিনই জমিতে কাজ করতে ব্যাস্ত থাকতেন। চন্দ্রকান্তর শিক্ষকরাই তাকে সবরকম সহযোগিতা করেছে। ২০০১ সালে ইসরোয় যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত। তাঁর কঠোর পরিশ্রমই তাঁকে এই পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।
চন্দ্রকান্তর মা তো ছেলের কথা বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেছেন। তিনি জানিয়েছেন টিভিতে ছেলের সাফল্যের খবর দেখে আমরা ভীষণভাবে গর্বিত। চন্দ্রকান্তর ছোট ভাই শক্তিকান্তও একজন বিজ্ঞানী। দুই ছেলের গর্বে গর্বিত মা-বাবা। গর্বিত বাংলা।