তাঁর ছবি দিয়ে মিথ্যা দাবি করায় কঙ্গনা রানাওয়াতের নিন্দায় মুখর ৭৩ বছরের বৃদ্ধা
কৃষক প্রতিবাদে অংশ নেওয়া পাঞ্জাবের ৭৩ বছরের এক মহিলাকে নিয়ে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত মিথ্যা দাবি করার পর ওই মহিলা জানিয়েছেন যে তিনি এখনও আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য এবং দিল্লি যেতে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত।

কঙ্গনার টুইট
২৯ নভেম্বর কঙ্গনা দিল্লির শাহিনবাগের প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ৯০ বছরের বিলকিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবি করে বসেন, এই বিলকিস গোটা বিশ্বের কাছে ‘দাদি' নামে পরিচিত এবং টাইমস ম্যাগাজিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের মধ্যে রাখা হয়েছিল। অভিনেত্রী টুইটে শাহিনবাগ ও কৃষক বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দুই বৃদ্ধের ছবি দিয়ে দাবি করে বলেন, ‘একশো টাকায় বিলকিস বানোকে বিক্ষোভের জন্য ভাড়া পাওয়া যায়।' যদিও পরে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়ে কঙ্গনা এই টুইট সরিয়ে দেন। তবে বিলকিস বানো ও কৃষক বিক্ষোভের বৃদ্ধা এক নয়।

মহিন্দর কউরের বিবৃতি
বিলকিস বানোর পাশে যে বৃদ্ধার ছবি দেখা গিয়েছে তিনি মহিন্দর কউর। এক সাক্ষাতকারে মহিন্দর কউর জানান যে এই বয়সে কৃষিকাজ করা যথেষ্ট কঠিন এবং সেই কারণে তিনি মোর্চায় যোগ দিয়েছিলেন কৃষকদের সমর্থন করতে। তিনি বলেন, ‘আমাকে জানানো হয়েছে কিছু অভিনেতা আমার বিষয়ে এমন ভাবে লিখছে। তিনি (কঙ্গনা) কখনও আমার বাড়ি আসেননি, কখনও দেখেননি আমি কি করি আর তিনি বলে দিলেন আমায় ১০০ টাকায় পাওয়া যায়। খুব বাজে কথা এটা। একশো টাকা দিয়ে আমি কি করব। আমার তিন মেয়ে, সকলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আমার ছেলে তাঁর স্ত্রী ও বাচ্চা নিয়ে আমার সঙ্গে থাকে। আমি কাস্তে দিয়ে ফসল কাটি। আমি এখনও তুলো বাছি। বাড়িতে আমি নিজে পরিবারের জন্য সবজি বপন করি এবং ফসলের যত্ন নিই।' ৭৩ বছরের বৃদ্ধা আরও বলেন, ‘আমি এখনও দিল্লি যেতে পারি। আণার মধ্যে সেই উদ্দীপনা রয়েছে। আমি কৃষক বিক্ষোভে যোগ দিতে যথেষ্ট সক্রিয়।'

বিলকিস বানো কৃষক আন্দোলনে যোগ দেননি
কঙ্গনা তাঁর টুইটে লেখেন, ‘ইনি তো সেই দাদি, যাঁকে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় রাখা হয়েছিল। এঁকে তো ১০০ টাকার বিনিময়েই পাওয়া যায়। পাক সংবাদিকরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে এঁকে ভারতের সম্মানহানির জন্য পিআর হিসেবে প্রদর্শন করছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের কথা বলার জন্যও লোক প্রয়োজন।' বিলকিসের পুত্র যদিও নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে তাঁর মায়ের কৃষক আন্দোলনে যাওয়ার কথা থাকলেও, তিনি সেখানে যেতে পারেননি।

২০১৫ সালে চণ্ডীগড়ের বিক্ষোভের ছবি
জানা গিয়েছে, ২৯ নভেম্বর বিলকিস বানোর সঙ্গে যে মহিলার ছবি সামনে এসেছে তাঁরা একই বৃদ্ধা নন। কঙ্গনা রানাওয়াত যাচাই না করেই সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন। ওই বৃদ্ধা তথা মহিন্দরের হাতে রয়েছে ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের পতাকা এবং তিনি হলুদ রঙের ওড়না পরে রয়েছেন। এই সংগঠনে যুক্ত মহিলা কৃষকদের এটি পোশাক। এই ছবিটি সম্ভবত ২০১৫ সালের ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড়ের বিক্ষোভের ছবি।

এ বছর ইয়াহুর মোস্ট সার্চ শোয়ের তালিকার প্রথম স্থানে 'তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’