জয় শ্রীরাম বলতে রাজি না হওয়ায় মুসলিম কিশোরের গায়ে আগুন
জয় শ্রীরাম বলতে না চাওয়ায় কিশোরের গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা যোগীর রাজ্যে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ বছরের ওই মুসলিম কিশোর।
জয় শ্রীরাম বলতে না চাওয়ায় কিশোরের গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা যোগীর রাজ্যে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ বছরের ওই মুসলিম কিশোর। শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তার। কয়েকদিন আগেই মোদী দাবি করেছিলেন বিদ্বেষ মূলক আচরণ আর গণপিটুনির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে পশ্চিমবঙ্গে। সোমবার এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বাস্তবটা।
জয় শ্রীরাম ধ্বনি এখন রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই এই স্লোগান ঘিরে তোলপাড় চলছে গোটা দেশে। তার আঁচ লোকসভাতেও পৌঁছে গিয়েছে। এই প্রথম লোকসভায় সাংসদদের মুখে ভারত মাতার জয়ের সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে জয় শ্রীরাম স্লোগান। গণতন্ত্রের তীর্থভূমিতে এহেন ধর্মীয় স্লোগান ঘিরে কম তরজা হয়নি। তার পরেও দমেনি গৈরিক শিবির। এই নিয়ে গণপিটুনির মতো ঘটনাও ঘটেছে।
উত্তর প্রদেশের চান্দৌলি জেলায় এক ১৫ বছরের মুসলিম কিশোরকে জয় শ্রীরাম বলতে জোর করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু কিশোর তাতে রাজি না হওয়ায় তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
যদিও পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিস। চন্দৌলি পুলিসের দাবি কিশোর নিজের গায়ে আগুন দিেয় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। এর সঙ্গে জয় শ্রীরাম স্লোগানের কোনও সম্পর্ক নেই। চন্দৌলির পুলিস সুপার সন্তোষ কুমার সিং দাবি করেছেন, কিশোর মিথ্যে অভিযোগ করছে। একাধিক ব্যক্তিকে একাধিক কথা বলছে কিশোর এমনই দাবি করেছেন পুলিস সুপার। তবে কিশোরের ৪৫ শতাংশ শরীর পুড়ে গিয়েছে সে ঘটনা তিনি মেনে নিেয়ছেন। তাঁকে গ্রামীণ হাসপাতালে থেকে বেনারসের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল সেখানেই এই জয় শ্রীরাম স্লোগানের অভিযোগ করেছে কিশোর।
সেখানে কিশোর পুলিসকে জানিয়েছে চার দুষ্কৃতী তাকে বাইকে করে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। এবং জয় শ্রীরাম বলতে জোর করছিল। সেটা না করায় তার গায়ে আগুন দিয়ে দেয়। কিন্তু এই ঘটনার সত্যতা এখনও জানা যায়নি।