শনিবার সন্ধ্যার প্রবল আধি ও ঝড়-বৃষ্টির দাপটে শীতল হল দিল্লি, দেখুন ছবি
ঘন্টা প্রতি ৯৮ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া, আধি, এবং ভারী বৃষ্টিতে শনিবার সন্ধ্যায় শীতল হল দিল্লি। সোমবার পর্যন্ত খারাপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।
সারা সপ্তাহের তীব্র দাবদাহের পর শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ আধি, ঝোড়ো হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিপাতে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যায় দিল্লির। এতে একদিকে যেমন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন দিল্লিবাসী, সেই সঙ্গে গাছ উপড়ে বা গাছের বড় ডাল পড়ে অনেক জায়গায় রাস্তাও আটকে যায়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত চলবে এই খারাপ আবহাওয়া।
ধুলোর চাবুক
বিকেল ৫টা বেজে ২০ মিনিট ঘন্টায় ৯৮ কিলোমিটার বেগে তীব্র ধূলোর ঝড় বা আধি চাবুকের মতো আঘাত হানে দিল্লী শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
মেঘের চাদর
অল্প সময়ের মধ্যেই ঘন মেঘে ছেয়ে যায় দিল্লির আকাশ। দিন কয়েক আগের আধির ভয়াল রূপের স্মৃতি এখনও অমলিন। তাই রাস্তায় বাস-গাড়ি উপেক্ষা করেই পথচারীরা ছোটেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
অদৃশ্য ইন্ডিয়া গেট
সপ্তাহান্তে অনেকেই এসেছিলেন ইন্ডিয়া গেট এলাকায় বেড়াতে। হঠাত করেই ঝড় আসায়, সবার মধ্যেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে তখন তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারলে বাঁচেন। পিছনে ধূলোয় অদৃশ্য তখন ইন্ডিয়া গেট।
বিকেল না মাঝরাত
আকাশে কয়েক কিলেমিটার উচ্চ মেঘ আর বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা। সব মিলিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটাতেই বিজয় চক থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন গোটা দিল্লি শহরেই যেন মাঝরাত নেমে এসেছিল। খারাপ দৃশ্যমানতার জন্য অনেক জায়গায় রাস্তায় সার সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়।
ধূলো ধুয়ে গেল বৃষ্টিতে
এরপরই নামে জোর বৃষ্টি। তাতে কমে যায় ধূলোর দাপট। তাপমাত্রা নেমে যায় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। তাতে শহরে খানিক স্বস্তি ফিরলেও এদিনের মতো চৌপাট হয়ে যায় ব্যবসা।
কোথাও শম্বুক গতি, কোথাও বা শুনশান
বৃষ্টি নামতেই দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় জ্যাম-যন্ত্রণা। দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় লম্বা লাইন পড়ে যায় যানবাহনের। বেশিরভাগ এলাকাতেই শম্বুক গতিতে চলেছে গাড়ি। কোথাও বা ঝড়ের পর গোটা এলাকা শুনশান হয়ে গিয়েছিল। খানিকক্ষণের ঝড় আর তারপরের বৃষ্টিতে এভাবেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় দিল্লি শহর।
জল থই থই শহর
ধূলোর ঝড় বন্ধ হলে শুরু হয় নতুন বিপত্তি। প্রবল বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। সউদরজং-এর হাওয়া অফিস জানিয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে আটটা পর্যন্ত ৪.৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পালামে হয়েছে ২৭.৩ মিমি।
অবরুদ্ধ
ঝড়-বৃষ্টির এই দাপটে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ বা গাছের বড় ডালপালাগুলি সরিয়ে রাস্তার পাশে রাখা হয়। চালু হয় গাড়ি চলাচল। তবে এদিন ঝড়-বৃষ্টিতে প্রায় ১০০ টি উড়ান দেরীতে উড়েছে। ৩৫ টি উড়ান বাতিল করতে হয়েছে।