শ্রমিক স্পেশালে মৃত্যু ৯৭ জনের! চাপের মুখে পড়ে একাধিক উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ কেন্দ্রের
লকডাউন চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে কত জন পরিযায়ী শ্রমিক রাস্ততেই মারা গিয়েছেন সেই তথ্য মোদী সরকার জানে না। সম্প্রতি সংসদের বাদল অধিবেশনে একথা বলতে শোনা যায় কেন্দ্রকেই। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। বিরোধীদের সমালোচনায় বারংবার বিদ্ধও হয়েছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রসরকার। এমতাবস্থায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল রেলমন্ত্রীকে।
লকডাউনেই চরম দুর্দশায় পরিযায়ীরা
আগাম কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই মার্চের শেষ দিনে আপদকালীন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে লকডাউন জারি করতে দেখা যায় মোদী সরকারকে। প্রাথমিক পর্যায়েই করোনাকে বেঁধে রাখতে ২১ দিনের লকডাউন জারি করা হয়। পরে তা বড়ে ৪ মাস পর্যন্ত চলে। যদিও তারপরেও ইতিমধ্যে ৫০ লক্ষ করোনা আক্রান্তের গণ্ডি পার করেছে ভারত। দৈনিক সংক্রমণেও এখন বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে দের দেশ।
পরিযায়ী শ্রমিক মৃত্যু নিয়ে নির্বাক কেন্দ্র
এদিকে একটানা লকডাউনের ফলে তীব্র মন্দা নেমে এসেছে অসংগঠিত ক্ষেত্রে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে বলা হয়েছে এই সময় ভারতে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন দেশের প্রায় ১০কোটি পরিযায়ী শ্রমিক। অন্যদিকে লকডাউনের বাস্তবায়ন নিয়ে এর আগেও একাধিক বার কংগ্রেস সহ প্রায় সমস্ত বিরোধীদের সরব হতে দেখা গেছে। যদিও এই লকডাউনেই কতজন পরিযায়ী শ্রমিক নিদারুণ দুর্দশার কারণে মারা গেছেন সেই তথ্য নাকি কেন্দ্রের কাছেই নেই বলে চলতি বাদল অধিবেশন জানানো হয়।
শ্রমিক স্পেশালে মৃত্যু ৯৭ জনের
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েই বর্তমানে শ্রমিক স্পেশালে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে হাজির হয়েছে কেন্দ্র। সদ্য তৃণমূলের তরফে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে দেখা ডেরেক ওব্রায়নকে। তার উত্তরেই রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে রেলমন্ত্রী জানান শ্রমিক স্পেশালে যাত্রাকালীন সময়ে কমপক্ষে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও কি তথ্য দিচ্ছেন রেল মন্ত্রী?
পীযূষ গোয়েল আরও বলেন ৯৭ জনের মধ্যে ৮৭টি জনেরই ময়নাতদন্ত হয়। এর মধ্যে ৫১জনের রিপোর্ট রাজ্য পুলিশের কাছ থেকেই মিলেছে। হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন হেমারেজ, লিভার ফেলিওরকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে ১লা মে থেকে ৩১শে অগাস্ট অবধি মোট ৪৬২১টি শ্রমিক স্পেশাল চালিয়েছে রেল। যাতে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৬৩.১৯ লাখ মানুষ। এর ফলে কেন্দ্রের প্রায় ৪৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।