রাজস্থানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পাইলটের মুখ্যমন্ত্রীত্বের পথে বাধা ৯০ জন বিধায়ক
রাজস্থানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পাইলটের মুখ্যমন্ত্রীত্বের পথে বাধা ৯০ জন বিধায়ক
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে অশোক গেহলট অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজস্থানে ক্রমেই রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়েছে। রবিবার জয়পুরে দিল্লি থেকে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গেহলটের বাসভবনে বৈঠকের কথা ছিল। সেখান রাজস্থানের বিধায়কদের অংশ নেওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু রবিবারের বৈঠকে অশোক গেহলট শিবিরের কোনও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। ৯০ য়ের বেশি বিধায়ক এই বৈঠক শুধু এড়িয়ে যাননি, স্পিকার সিপি যোশির কাছে যৌথ পদত্যাগ জমা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গেই রাজস্থান জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়।
পাইলট ও গেহলট শিবিরের দ্বন্দ্ব
রবিবারের বৈঠক সচিন পাইলটকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সচিন পাইলটকে কোনওভাবেই গেহলট শিবির মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা দাবি করেছিলেন, অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠ কেউ যেন মুখ্যমন্ত্রী হন। পাইলট রবিবার বিকেলে দিল্লি থেকে জয়পুরে উড়ে এসেছিলেন এবং তার সমর্থক বিধায়কদের সঙ্গে সিএলপি মিটিংয়ে পৌঁছেছিলেন। এতে গেহলট শিবিরের সন্দেহ আর বাড়ে। তাঁরা অনুমান করেন, হাইকমান্ডের থেকে সচিন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন। অশোক গেহলটের মনোনয়ন জমার একদিন আগেই রাজস্থানে কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
হাই কমান্ডের হস্তক্ষেপ
জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে আসা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা যেমন মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাজ্যের ইনচার্জ অজয় মাকেন বৈঠকের পরে রবিবার রাতে বিধায়কদের সঙ্গে স্বতন্ত্রভাবে দেখা করেছিলেন। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, বিধায়কদের প্রতিক্রিয়া হাইকমান্ডকে জনাবেন।
আস্থা নেই সচিন পাইলটের ওপর
তবে, গেহলট শিবিরের ৯০ জন বিধায়াক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা কোনওভাবে সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবেন না। বাকি ১৭ জন বিধায়ককে সঙ্গে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া উচিত হবে না বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কারণ তাঁরা দুই বছর আগে গেহলট সরকারকে পতনের চেষ্টা করেছিলেন। যদিও পরে কংগ্রেস শিবিরে ফিরে আসেন। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতায় একটা ফাঁক থেকে গিয়েছে।
গেহলট শিবিরের দাবি
গেহলট শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে, তিনি যদি কংগ্রেস সভাপতি হন তবে পরবর্তী নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট পেশ না হওয়া পর্যন্ত গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করে যেতে হবে। অন্যদিকে, বিধায়কদের যৌথ পদত্যাগ স্পিকার দ্বারা স্থগিত রাখা হচ্ছে গেহলট শিবিরের পাশাপাশি সচিন পাইলেটের সমর্থনকারী বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে, গেহলট শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে, সভাপতি নির্বাচনের পরেও যেন তাঁর মন্ত্রীত্ব চালিয়ে যেতে পারেন। যদিও রাহুল গান্ধী এক ব্যক্তি এক পদের ওপর জোর দিয়েছেন।
রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে বেকায়দায় কংগ্রেস! হাইকমান্ড-গেহলট-পাইলটদের বিকল্প নিয়ে জল্পনা