এলজেপিতে যোগ দেওয়ায় বহিষ্কৃত ৯ বিজেপি নেতা, সুশীল মোদীর নয়া চালে আদৌও কি শান্ত হবে নীতীশ শিবির?
এলজেপিতে যোগ দেওয়ায় বহিষ্কৃত ৯ বিজেপি নেতা, সুশীল মোদীর নয়া চালে আদৌও কি শান্ত হবে নীতীশ শিবির?
দিন যত গড়চ্ছে ততই বাড়ছে বিহার নির্বাচনের পারদ। সূত্রের খবর, এদিকে এলজেপি কাঁটায় ক্রমেই বিদ্ধ হয়েছে এনডিএ জোট। অন্যদিকে আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এলজেপির একা লড়ার পিছনে বিজেপি অভিসন্ধি নিয়ে এখনও সন্দিহান নীতীশ কুমারের জেডিইউ। এমতাবস্থায় জেডিইউ-র ভরসা ধরে রাখতে এলজেপি-র টিকিটে ভোটে ময়দানে নামা ৯ দলীয় নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি।
সোমবার রাতেই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার
সূত্রের খবর, সোমবার রাতেই এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানাতে দেখা যায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল কুমারকে। এদিকে গত সপ্তাহ আসন্ন নির্বাচতন উপলক্ষে প্রথম দফার ৪২ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে দেখা যায় চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিকে। সেখানে দলত্যাগী বিজেপি নেতাদের উপরেই সর্বাধিক ভরসা করতে দেখা যায় চিরাগকে।
ভোটের ফল ভালো হলে আদৌও কি চিরাগ শিবিরের হাত ধরতে পারে বিজেপি ?
এদিকে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ভোটের ফলাফলে জেডিইউ-র থেকে এলজেপি ভালো ফল করলে নীতীশের ডানা ছেঁটে চিরাগের হত ধরতে পারে বিজেপি। আর এখানেই জেডিইউ শিবিরে তৈরি হয়েছে সন্দেহের বাতাবরণ। এদিকে নীতীশের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত মাসেই এনডিএ জোটে হাত মিলিয়ে ভোটের লড়াইয়ে না হাঁটার কথা সাফ জানান চিরাগ। যদিও বিপির সঙ্গে তাঁর কোনও বিরোধ নেই বলেও জল্পনা জিইয়ে রাখেন।
কেন এলজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপির ৯ নেতা ?
এমতাবস্থায় জেডিইউ শিবিরের ভরসা ধরে রাখতে আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভ করলে নীতীশই যে এনডিএ সরকারে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তা একাধিকবার প্রকাশ্যেই খোলসা করেন সুশীল মোদী সহ বিপির একাধিক প্রথম সারির নেতৃত্ব। যদিও আসন বন্টন ও নীতীশের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিজেপি অন্দরেও। এরপরেই এলজেপির টিকিটে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন বিহার বিজেপির প্রায় প্রথম সারির ৯ নেতা।
বহিষ্কৃতদের তালিকায় রয়েছেন কোন কোন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা ?
গত সপ্তাহে চিরাগ পাসওয়ানের তরফে এলজেপির যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে দেখা যাচ্ছে এই তালিকায় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি রাজেন্দ্র সিংহ, প্রাক্তন বিধায়ক রামেশ্বর চৌরাশিয়া ও ঊষা বিদ্যার্থীরও নাম রয়েছে। দিনারা, সাসারাম এবং পালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই তারা লড়ছেন বলে খবর। এছাড়াও ঝাঝা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা রবীন্দ্র যাদব। অমরপুর থেকে এলজেপি-র টিকিটে লড়ছেন আর এক দলত্যাগী বিজেপি নেতা মৃণাল সরকারও। জাহানাবাদ থেকে চিরাগ শিবির থেকে লড়ছেন বিজেপির আরেক নেতা ইন্দু দেবী কশ্যপও। যদিও বর্তমানে দল বিরোধী কাজের জন্য তাদের সকলকেই বহিস্কার করা হয়েছে বলে বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়ালের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু এই চালেও আদপেও কতটা চিঁড়ে ভেজে এখন সেটাই দেখার।
বিহার নির্বাচন ২০২০:একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে বিজয় নিশান ওড়াবে বিজেপি! সমীক্ষার পরিসংখ্যান একনজরে