বড়সড় রদবদল মুম্বই পুলিশে, ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে সরে গেলেন ৬৫ জন অফিসার
বড়সড় রদবদল মুম্বই পুলিশে
হেমন্ত নাগরালে মঙ্গলবার মুম্বই পুলিশ কমিশনারের পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরই ক্রাইম ব্রাঞ্চের ৬৫ জন সহ ৮৬ জন মুম্বই পুলিশের অফিসারের বদলি হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, রাজ্য পুলিশে 'স্থানান্তরের জন্য অর্থ’ কেলেঙ্কারি মামলায় তৎকালীন গোয়েন্দা কমিশনার রশ্মি শুক্লার রিপোর্টের উল্লেখ করে বিরোধীরা সরকারকে কোণঠাসা করার পরই পুলিশের এই রদবদল শুরু হয়।
রিপোর্টে
এক
শীর্ষ
রাজনৈতিকবিদ,
মধ্যম
ব্যক্তি
ও
এক
পুলিশ
অফিসারের
নামে
অভিযোগ
রয়েছে,
যাঁরা
অর্থের
বিনিময়ে
পুলিশদের
তাঁদের
পছন্দসই
জায়গায়
স্থানান্তর
বা
বদলি
করে
দেয়।
এই
রিপোর্ট
নিয়ে
যদিও
রাজ্য
সরকার
কোনও
মন্তব্য
করতে
রাজি
হয়নি
তবে
শীর্ষ
বিজেপি
নেতা
তথা
রাজ্যের
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী
দেবেন্দ্র
ফড়নবীশ
কেন্দ্রকে
এই
মামলায়
সিবিআই
হস্তক্ষেপের
জন্য
আর্জি
করেন।
এরই মধ্যে দু’জন ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার, এপিআই রিয়াজুদ্দিন কাজি ও প্রকাশ হোবাল, যাঁরা ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিটে ছিলেন, তাঁদের এনআইএ জিজ্ঞাসাবাদ করে আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে। এঁরা দু’জনেই ধৃত সিআইইউ অফিসার সচিন বেজের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। কাজিকে স্থানান্তর করা হয়েছে স্থানীয় আর্মস ইউনিটে এবং হোবালকে বদলি করে দেওয়া হয় মালাবার হিল পুলিশ স্টেশনে।
এছাড়াও ক্রাইম ব্রাঞ্চের ৬৫ জন বদলি হওয়া অফিসারদের মধ্যে, ২৮ জন পুলিশ ইনস্পেক্টর, ১৭ জন এপিআই ও ২০ জন পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পরমবীর সিংকে। বুধবার মহারাষ্ট্র সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, মুম্বই পুলিশের নতুন কমিশনার হচ্ছেন হেমন্ত নাগরালে। মুকেশ অম্বানির বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধার কাণ্ডে মুম্বইয়ের পুলিশ অফিসার সচিন বেজের জড়িয়ে পড়ার ঘটনার মধ্যেই হল এই রদবদল। দীর্ঘ ১৬ বছর সাসপেনশনে থাকা সচিনকে মুম্বই পুলিশের বড় পদে ফিরিয়ে এনেছিলেন প্রাক্তন কমিশনার পরমবীরই। বুধবার মহারাষ্ট্রের পুলিশমন্ত্রী অনিল দেশমুখ পরমবীরের বদলির ঘোষণা করেন। তিনি জানান, পরমবীরকে হোমগার্ডের ডিজি পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলে মুম্বইয়ের নতুন পুলিশ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন হেমন্ত নাগরালে। হেমন্ত সিনিয়র আইপিএস অফিসার। এর আগে মহারাষ্ট্র পুলিশের অতিরিক্ত ডিজিপি পদে ছিলেন।
প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি পিকে, পরবর্তী লক্ষ্য স্থির করতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর নিবাসে