বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিহার সহ দেশের ৭৪টি অঞ্চলে মোতায়েন ৮৫টি এনডিআরএফ টিম
বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিহার সহ দেশের ৭৪টি অঞ্চলে মোতায়েন ৮৫টি এনডিআরএফ টিম
বর্ষার ভারী বৃষ্টিপাতে দেশে ক্রমবর্ধমান বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কোনও সুযোগই হাতছাড়া করতে রাজি নয়। যে কোনও পরিস্থিতিতে সহায়তা করতে এনডিআরএফের ৮৫টি দল দেশের ২০টি দুর্বল রাজ্যের ৭৪টি এলাকায় রয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এনডিআরএফ
ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, রাজস্থান, সিকিম ও ত্রিপুরাতে রয়েছে একটি করে দল। অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশ, দিল্লি ও জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েন দু'টি করে দল এবং তিনটি করে দল রয়েছে কেরল, পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে। এনডিআরএফের চারটে দলকে মোতায়েন করা হয়েছে কর্নাটকে। উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ছ'টি করে দল। মহারাষ্ট্রে মোতায়েন করা হয়েছে সাতটি এনডিআরএফের টিম এবং গুজরাতে রয়েছে ন'টি টিম। ১২টি দল মোতায়েন করা হয়েছে অসমে এবং বিহারে বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে ১৯টি এনডিআরএফের দলকে নামানো হয়েছে।
মোতায়েন করা হয়েছে আরআরসি
এগুলি ছাড়াও, এনডিআরএফের রিজিওনাল রেসপন্স সেন্টারে (আরআরসি) ২৩ টি রাজ্যের ২৬ টি স্থানে ৩৭ টি দল অবস্থান করছে। যে কোনও দুর্বল অঞ্চলে দুর্যোগ হলে এই আরআরসি তৎক্ষণাত পদক্ষেপ করে বলে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। এনডিআরএফের ১২২ জন স্বয়ংসম্পূর্ণ দল রয়েছে, যেখানে চিকিৎসক, ডুবুরি, প্যারা-মেডিক্যাল এবং প্রশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়াররা রয়েছেন, যাঁদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে নৌকা ও অন্যান্য বন্যায় উদ্ধারকাজের জন্য সরঞ্জাম রয়েছে। এনডিআরএফ ব্যাটেলিয়নের অতিরিক্ত দলগুলিকেও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে গুয়াহাটি (অসম), কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ), মুন্ডালি (ওড়িশা), আরাক্কোনাম (তামিলনাড়ু), পুনে (মহারাষ্ট্র), বরোদরা (গুজরাত), ভাতিন্ডা (পাঞ্জাব), গাজিয়াবাদ ও বারাণসী (উত্তরপ্রদেশ), পাটনা (বিহার), গুন্টুর (অন্ধ্রপ্রদেশ) ও ইটানগরে (অরুণাচল প্রদেশ)।
গোটা দেশের ওপর নজর রাখছে এনডিআরএফ
এনডিআরএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বাহিনী রাজ্য সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং উদ্ধারকাজের কৌশল তৈরি করছে। দিল্লিতে জাতীয় বিপর্যয় বাহিনী তাদের কন্ট্রোল রুম থেকে গোটা দেশের বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
নেপালে বৃষ্টি
নেপালের বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। নেপালে যত বেশি বৃষ্টি হবে বিহারে তত বেশি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা তীব্র হবে। হয়ত বিহারের পরিস্থিতি নেপালের মতোই হতে পারে বা তার চেয়ে খারাপ হতে পারে। কাঠমান্ডুতে প্রবাহমান বাগমতী নদীর ছবি তুলেছে নেপালিরা। ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধ্বস ও বন্যা দেখা দিয়েছে, যার জন্য নেপালের সঙ্গে কাঠমান্ডুর যোগাযোগ স্থাপনকারী হাইওয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
লাদাখের শান্তি প্রক্রিয়া কি ভেস্তে গেল? এলএসি বরাবর ভারত ফের সেনা মোতায়েন করায় উঠছে প্রশ্ন