মরুরাজ্যে বাড়ছে উত্তাপ, পাইলটে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে নারাজ গেহলট অনুগামীরা, পদত্যাগ ৮২ জন বিধায়কের
মরুরাজ্যে বাড়ছে উত্তাপ, পাইলটে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে নারাজ গেহলট অনুগামীরা, পদত্যাগ ৮২ জন বিধায়কের
রাজস্থানে বাড়ছে সংকট। সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী মানতে নারাজ অশোক গেহলটের অনুগামীরা। তীব্র বিদ্রোহ প্রকাশ করে গতকাল রাতেই রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন কংগ্রেসের ৮২ জন বিধায়ক। এই নিয়ে সংকট আরও বাড়ছে কংগ্রেসের অন্দরে। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন তাঁরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের পদত্যাগ
সভাপতি নির্বাচন ঘিরে চরম দোটানায় পড়েছে কংগ্রেস। অশোক গেহলটকে সভাপতি পদে প্রার্থী করতে গিয়ে রাজস্থানে টলমল অবস্থা। সেখােন চরম সংকটে পড়েছে কংগ্রেস। সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে নারাজ গেহলট অনুগামীরা। গত কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভ দানা বাঁধছিল কংগ্রেসের অন্দরে। রবিবার সেটা চরমে ওঠে। গেহলট অমনুগামী ৮২ জন বিধায়ক গতকাল রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগ পত্র দিয়ে এসেছেন। তাঁরা সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে নারাজ।
সচিন পাইলটের বিরোধিতায়
অশোক গেহলটকে সভাপতি পদে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। জয়ী হলে তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অশোক গেহলটের জায়গায় সচিন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে ভাবছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। ইতিমধ্যে দিল্লিতে এই িনয়ে বেশ কয়েক দফায় বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। তাতে সচিন পাইলটের নামই চূড়ান্ত করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তারপর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজস্থান। গতকাল জরুরি পরিস্থিতিতে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছিলেন অশোক গেহলট। কিন্তু তাতেও মেটেনি সমস্যা।
সভাপতি নির্বাচনে জোড়া সংকট
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে চরম জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই প্রথম গান্ধীপরিবারের কেউ সভাপতি পদে থাকছেন না। শশী থারুর আগেই প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেছে। এই সভাপতি নির্বাচন ঘিরে জটিলতার কারণেই আগেই দল ছেড়েছেন গুলাম নবি আদাজ। এদিকে গান্ধী পরিবারের কেউ প্রার্থী না হওয়ায় গান্ধী পরিবারের অনুগামী অশোক গেহলটকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। এবং তাঁকে সভাপতি পদে বসানোর মরিয়া চেষ্টা চলছে।
কোন পথে হাঁটবে কংগ্রেস
রাজস্থানে সরকার পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শ্যাম রাখি না কুল রাখি এমন টানা পোড়েনে পড়েছেন সোনিয়া গান্ধী। অশোক গেহলটকে সভাপতি পদে প্রার্থী না করলেও সংকট। আবার অশোক গেহলট মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেও সংকট। এই পরিস্থিতিতে কী করবে হাইকমান্ড সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেসের অন্দরের এই বিদ্রোহের পুরো ফায়দা তুলতে পারে বিজেপি। কাজেই কংগ্রেসের গড়ড রক্ষা করা এখন সোনিয়া গান্ধীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।