গত ২৪ ঘন্টায় ৮০০ মিমি বৃষ্টিতে আরও ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি, এয়ারলিফট করে চলছে উদ্ধারকাজ
একদিকে পশ্চিমবঙ্গ অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ! প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে দেশের দুই প্রান্ত। দুই জায়গাতে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি। বাংলাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ এই বন্যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ভয়ঙ্কর বর্
একদিকে পশ্চিমবঙ্গ অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ! প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে দেশের দুই প্রান্ত। দুই জায়গাতে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি। বাংলাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ এই বন্যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ভয়ঙ্কর বর্ষণে মধ্যপ্রদেশের ১২০০ গ্রাম কার্যত ডুবে গিয়েছে জলের তলাতে।
এর মধ্যেই আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ শিং চৌহান পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে নামানো হয়েছে উদ্ধার কাজে।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুসেনারও উদ্ধারকাজে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বন্যা বিধ্বস্ত একাধিক এলাকা থেকে এয়ার লিফট করা হচ্ছে বানভাসী মানুষকে। প্রবল বৃষ্টির কারণে মধ্যপ্রদেশের অবস্থা খুব উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী চৌহান। তিনি আরও বলেন, শিবপুর, শেউপুর, দাটিয়া, গোয়ালিওর, গুনা, বিন্দ, মোরেনা জেলার ১২২৫টি গ্রাম ভয়ঙ্কর ভাবে বন্যাতে বিধ্বস্ত।
কোথায় জলে বাড়ি সমান আবার কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এখন উদ্ধার কাজ চলছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিম, রাজ্যে বিপর্যয় বাহিনী এবং বিএসএফ এই উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ২৪০টি গ্রামের ৫৯৫০জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চৌহান।
যে সমস্ত গ্রাম ভয়ঙ্কর ভাবে বন্যাতে বিধ্বস্ত সেই সমস্ত গ্রামে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তিনটি দল। এছাড়াও শিবপুরি, গোয়ালিওর, দাটিয়া, শেওপুরে ভারতীয় সেনার একাধিক টিম। পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনার তরফেও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
একাধিক হেলিকপ্টারের সাহায্যে মানুষকে এয়ারলিফট ক্র উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ জায়গাতে। তবে চৌহান মনে করছেন, খুব শীঘ্র আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে। বৃষ্টির পরিমাণও আরও কমতে শুরু করবে। এর ফলে আরও বেশি করে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হবে বলে দাবি।
অন্যদিকে, বন্যাকবলিত এলাকাগুলিতে লাগাতার ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্যেও সবদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চৌহান।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, গত ২৪ ঘন্টাতে ৮০০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে সে রাজ্যের বন্যা পিরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একাধিক জেলাতে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। প্রবল বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। একাধিক রেলপথ, সড়ক এখন জলের তলাতে।
ফলে এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলার যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে।
উল্লেখ্য সে রাজ্যের ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বিগ্ন খোদ প্রধানমন্ত্রী নিরেন্দ্র মোদী। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ শিং চৌহানকে ফোন করেছেন তিনি। বিস্তারিত ভাবে খোঁজখবর নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও পাল্টা রাজ্যের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সে রাজ্যেকে সমস্ত রকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও শিবরাজকে আশ্বাস মোদীর।