আডবাণীকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন বিজেপি-র ৮০ শতাংশ, চাঞ্চল্যকর দাবি শত্রুঘ্ন সিনহার
আডবাণীকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে চেয়েছিলেন বিজেপির বেশিরভাগ অংশ। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।
আডবাণীকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে চেয়েছিলেন বিজেপির বেশিরভাগ অংশ। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। এবছরের শুরু দিকে, আডবাণীকে রাষ্ট্রপতি করার দাবি প্রচারও চালিয়েছিলেন তিনি।
বিজেপির ৮০ শতাংশ লোক আডবাণীকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে চেয়েছিলেন। এমনটাই জানালেন অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা। আডবাণীকে তাঁর বন্ধু, পথপ্রদর্শক এবং তাঁর নেতা বলেও দাবি করেছেন শত্রুঘ্ন।
কয়েকমাস আগে রামনাথ কোবিন্দকেই তাদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করে বিজেপি। এবং অনায়াসেই নির্বাচিত হন রামনাথ কোবিন্দ। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা টুইটারে ৮৯ বছর বয়সী আডবাণীর জন্য প্রচার চালিয়েছিলেন।
২০১৩ সালে আডবাণীর নেতৃত্বাধীন বিজেপিরই একটি গোষ্ঠী নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার বিরোধিতা করে দরবার করেছিল। ওই গোষ্ঠীতে সেই সময় ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। যদিও তখনকার মতো সেই আবেদন বাতিল হয়ে যায় এবং মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি ২০১৪-র জাতীয় নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে।
এর পরবর্তী পর্যায়ে আডবাণীও সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। অন্যদিকে এক সময়কার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্যে দলের মধ্যে বিতর্ক তৈরি করলেও, কখনই তিনি বিজেপি ছেড়ে যাবেন না বলেও জানিয়েছিলেন।
বিজেপি তাঁর কাছে প্রথম এবং শেষ এবং একমাত্র দল। যখন দলের দুজন সাংসদ ছিল, তখন তিনি বিজেপিতে যোগ দেন বলে জানিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এই মুহূর্তে তাঁকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমান বিজেপিকে 'টু ম্যান আর্মি' বলে কটাক্ষ করেছেন শত্রুঘ্ন।
বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা চেষ্টা করলেও, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সময় দেননি বলে অভিযোগ করেছেন শত্রুঘ্ন। যদিও ছেলের বিয়েতে যোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে অমিত শাহ-র সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন শত্রুঘ্ন। বিহার থেকে নির্বাচিত হলেও, বছর দুয়েক আগে হওয়া বিহার বিধানসভার নির্বাচনে তাঁকে প্রচারের জন্য না ডাকার অনুযোগও করেছেন।