প্রধানমন্ত্রী মোদীর সম্মান ফিরিয়ে দিল ৮ বছর বয়সী লিসাপ্রিয়া! নেপথ্যে কোন কারণ?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার রাতেই ঘোষণা করেন যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই রবিবার তিনি বেরিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। পরে এই সিদ্ধান্তের আড়ালে থাকা সত্যিটি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, রবিবার অর্থাৎ ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। আর সেই দিন প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ব্যবহার করবেন দেশের উল্লেখযোগ্য অনুপ্রেরণাদায়ক মহিলারা। সেই জন্য অনেকের মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছিল লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজামকে।
লিসিপ্রিয়াকে 'শি ইন্সপায়ারস আস' সম্মান দিতে চেয়েছিল কেন্দ্র
মণিপুরের বাসিন্দা ৮ বছরের লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে মনিপুরের লিসিপ্রিয়াকে তাঁর কাজের জন্য সম্মান জানাতে চাওয়া হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে। কেন্দ্রের তরফে নারীদিবসে বিশেষ কয়েকজন মহিলাকে সম্মান জানাতে শুরু করা হয়েছিল 'শি ইন্সপায়ারস আস' হ্যাশট্যাগ। সেই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেই লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজামকে সরকারের একটি টুইটে জানতে চাওয়া হয় যে লিসিপ্রিয়া সবাইকে কতটি অনুপ্রেরিত করেছে।
মোদীর সম্মান ফিরিয়ে দেয় লিসাপ্রিয়া!
কেন্দ্রের এই টুইটের জবাবেই লিসিপ্রিয়া লেখে, 'প্রিয় নরেন্দ্র মোদী জি, আমার আওয়াজ আপনাদের কাছে না পৌঁছলে আমায় সম্মানিত করবেন না। 'শি ইন্সপায়ারস আস' উদ্যোগে আমায় মনোনিত করার জন্য ধন্যবাদ। অনেক ভেবেই এই সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জয়হিন্দ!'
পরিবেশ নিয়ে নিজের দাবির উপর জোর দিতেই সম্মান ফেরায় লিসাপ্রিয়া
এই সম্মান ফেরানোর বিষয়ে লিসিপ্রিয়াকে জিজ্ঞাসা করে হলে সে বলে, 'প্রথমে বিশ্বাস করিনি। গর্ব হয়েছিল। কিন্তু একই সঙ্গে খুব মন খারাপ হয়েছিল। আমি নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, আমার কি এই সম্মান গ্রহণ করা ঠিক হবে? নাকি পরিবেশ নিয়ে যে একাধিক দাবি রয়েছে, সেসব নিয়ে সরকারের কাছে ক্রমাগত দাবি রেখে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমার এই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়াই সরকারকে বাধ্য করবে আমার দাবি দাওয়াগুলোর দিকে নজর দিতে।'
শিশু এবং নারীদের উপর বেড়ে চলা হিংসা নিয়ে উদ্বেগ
লিসিপ্রিয়া
বলে,
'মহিলাদের
সম্মানিত
করার
কেন্দ্রীয়
উদ্যোগ
ভালো।
তবে
শিশু
এবং
নারীদের
উপর
যে
হারে
হিংসা
বাড়ছে,
তাতে
আমি
আশার
আলো
দেখছি
না।
এভাবে
কয়েকজনকে
সম্মানিত
করা
ফেয়ারনেস
ক্রিম
লাগানোর
মতো
হবে।
মুখ
ধুয়ে
নিলেই
ক্রিম
মুছে
যাবে
তো।
বরং
আমি
চাই
মোদী
জি
আমার
কথা
শুনুক।
আমাদের
দেশের
নেতারা
জলবায়ুর
পরিবর্তনের
বিষয়টিকে
আরও
গুরুত্ব
দিক।'