লোকসভায় ৬ বারের জয়! কিন্তু বিধানসভায় নির্বাচনে কেন লড়াইয়ের রাস্তায় নেই নীতীশ কুমার ?
বিধানসভায় নির্বাচনে কেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায়না নীতীশ কুমারকে ?
চলতি মাসের শেষার্ধেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে বিহারবাসী। এদিকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র এই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যেই কিন্তু একটি বিষয়ে বিশেষ মিল রয়েছে। নীতীশ কুমার, যোগী আদিত্যনাথ এবং উদ্ধব ঠাকরে, ভারতের তিনটি জনবহুল রাজ্যের তিন মুখ্যমন্ত্রীর কেউই কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিধানসভা নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
শেষ প্রতিদ্বন্দিতা প্রায় ৩৫ বছর আগে
এদিকে এই তিন রাজ্যেৎ তিন মুখ্যমন্ত্রীই কিন্তু উল্টে দীর্ঘদিন থেকেই আবার সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির বিধান পরিষদ সদস্য থেকেছেন। কিন্তু সরাসরি নির্বাচনি লড়াইয়ে হাঁটতে দেখা যায়নি তাদের কাউকেই। যদিও ভারতের রাজনৈতিক ময়দানের এই অন্যতম প্রধান তিন মহারথীর মধ্যে নীতীশ কুমারই একমাত্র যিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, কিন্তু সেটাও প্রায় ৩৫ বছর আগে।
১৯৮৫ সালেই প্রথম নির্বাচনী লড়াইয়ে জয়লাভ
এর আগে ১৯৭৭ সালেই প্রথমবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায় নীতীশ কুমারকে। হারনাট কেন্দ্র থেকে লড়াই করলেও জযের মুখ দেখতে পারেনি তিনি। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে তিনি বিহারের রাজনীতির ময়দানে প্রথমবারের মতো বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। যদিও বিধানসভা ভোটের নিরিখে সেটাই তার শেষ লড়াইও বটে। অন্যদিকে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে একটানা চারবার জয়লাভের জন্য মুখিয়ে রয়েছে নীতীশ শিবির।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পাঁচবার শপথ নীতীশের
যদিও সমস্ত নির্বাচনী হিসেব নিকেশ মাথায় রাখলে দেখা যাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পাঁচবার শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার। প্রথম ২০০০ সালে, পরবর্তীতে ২০০৫, ২০১০ এবং ২০১৫ সালে দুবার। আর সহজ ভাবে বলতে গেলে ২০১৪-১৫ সালে নয় মাসের সংক্ষিপ্ত সময় ছাড়া ২০০৫ সালের নভেম্বর থেকেই বিহারের মসনদে রয়েছেন নীতীশ। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপির জয়ের পরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে দেখা যায় নীতীশ কুমারকে।
২০১৫ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রত্যাবর্তন নীতীশের
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পর নীতীশ সরে দাঁড়ালে তার জায়গায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে দেখা যায় জিতন রাম মাঝিকে। যদিও বিপির সঙ্গে তার রসায়নও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের হাত ধরে ফের প্রত্যাবর্তন ঘটে নীতীশের। লালুপ্রসাদের আরজেডি-র সঙ্গে জোটবদ্ধ লড়াইয়ে পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত হয় নীতীশের।
৬ বার লোকসভা নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেন নীতীশ
যদিও এত টানাপোড়েনের মাঝে ২০১৭ সালে আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের এনডিএ শিবিরে নাম লেখাতে দেখা যায় নীতীশকে। এদিকে গত ৩০ বছরে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা না করলেও একাধিক লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায় জেডিইউ প্রধানকে। এমনকী ছয়বার লোকসভা ভোটে জয়লাভও করেন তিনি। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নালন্দা কেন্দ্র থেকে লড়তে দেখা যায় নীতীশকে এবং জয়লাভও করেন। যদিও ২০০৫ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ওই আসন থেকে পদত্যাগ করতে দেখা যায় তাকে।
বিহার ভোটের প্রাক্কালে বিজেপির বি-টিম হিসাবে কাজ করাতেই সংখ্যালঘুদের ভরসা হারাচ্ছে জেডিইউ?