বুলন্দশহর কাণ্ডে এফআইআর-এ ৮ সক্রিয় গেরুয়াপন্থী! নিরাপরাধদের নাম নিয়ে প্রশ্ন
মঙ্গলবার বুলন্দশহর পুলিশ তাদের এফআইআর-এ যে ২৮ জনের নাম করেছে তাঁদের মধ্যে আটজন হলেন বজরং দল, ভিএইচপি এবং বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য। এঁদের কারও নির্দিষ্ট কোনও কাজ ছিল না। এফআইআর-এ নাম রয়েছে গ্রামের সাত মুসলিমেরও।
আঠারোজনের মধ্যে রয়েছেন সেখানকার কৃষক এবং কলেজ ছাত্র। যাঁদেরকে সিয়ানা থানায় বিক্ষোভে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। এঁদের সঙ্গে অন্য কোনও গোষ্ঠীর যোগ এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।

প্রধান অভিযুক্ত যোগেশ রাজ
এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত যোগেশ রাজ। ২৮ বছরের এই যুবক নয়াবান্স গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে বজরং দলের হয়ে কাজ করে। তবে এর আগে ভিএইচপি-র সঙ্গেও তিন বছর যুক্ত ছিল।
প্রায় চারবছর আগে নিজের কাজ ছেড়ে দিয়েছিল সে। ছেলে আইনের স্নানক বলে জানিয়েছে যোগেশের মা। তবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই নেতাকে বন্দুক হাতেও দেখা যেত।
গ্রামের কোনও অনুষ্ঠানে ব্যাপক সংখ্যায় লোক জমায়েতের ক্ষমতা রয়েছে এই নেতার। কোনও সদ্যোজাতের নামকরণ অনুষ্ঠান হলেই মাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ত সে।

শুধু হিন্দু পরিবারের সঙ্গেই
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, যোগেশ শুধুমাত্র গ্রামের হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গেই যোগাযোগ রাখত। অন্যদের পরামর্শ দিত যাতে মুসলিমদের সঙ্গে কোনও যো
|
সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি
অগাস্ট মাসে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দিতেও দেখা গিয়েছে। তার সঙ্গে থাকা বাকি সাতজনও একইকরমের বলে জানা গিয়েছে।

এফআইআর-এ গ্রামের ৭ মুসলিমের নাম
বুলন্দশহরের নয়াবন্স গ্রামের সাত মুসলিমের নাম রয়েছে এফআইআরএ। যাদের মধ্যে দুজনের বয়স ১১ থেকে ১২ বছরের মতো। তবে তাদের কেউই ঘটনার সময় গ্রামে ছিল না বলে দাবি স্থানীয়দের।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় পুলিশের একাংশও এই মতই প্রকাশ করেছে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, প্রধান অভিযুক্তের অভিযোগের প্রেক্ষিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার প্রায় ৭০ জনের মতো পুলিশকর্মী গ্রামে যান, তথাকথিত গোহত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাতজনের খোঁজে।
এফআইআর-এ নাম রয়েছে সারফুদ্দিন এবং পারভেজ নামে দুই ব্যক্তির। তারা একইগ্রামের বাসিন্দা। যদিও তারা শনিবার গ্রাম থেকে প্রায় ৪৫ কিমি দূরে মুসলিমদের ধর্মীয়
অনুষ্ঠানে রয়েছেন বলে পরিবার সূত্রে দাবি।
( ছবি সৌজন্য: টুইটার)