তিনমাসে উদ্ধার ৭৬টি নিখোঁজ শিশু, হেড কনস্টেবল থেকে এএসআই পদ পেলেন এই মহিলা পুলিশ
তিনমাসের মধ্যে ৭৬ জন শিশুকে উদ্ধার করে রাতারাতি পদোন্নতি হল এই মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের। নিখোঁজ শিশুদের খুঁজে বের করতে কনস্টেবল ও হেড কনস্টেবলদের জন্য দিল্লি পুলিশ পদোন্নতির নতুন এই উদ্যোগে চালু করে। যাতে সফল হন সীমা ধাকা। নিখোঁজ শিশুদের খোঁজার জন্য পুলিশ কর্মীদের উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ চালু করা হয়।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এইশ সিংঘল জানিয়েছেন যে সীমা ধাকা পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে এইসব নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধার করেছেন। সিংঘল বলেন, 'পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব এই নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধার করলে পদোন্নতি দেওয়া হবে ঘোষণা করার পর গত ৭ অগাস্ট থেকে সীমা এইসব শিশুদের সনাক্ত করে চলেছে।’ বর্তমানে এসআই পদে থাকা সীমা ধাকা ৭৬ জন শিশুকে উদ্ধার করেন, যার মধ্যে ৫৬ জনের বয়স ১৪ বছরের নীচে। চলতি বছরের ৫ অগাস্ট পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করার পরই শিশুদের উদ্ধারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন হেড কনস্টেবল সীমা। এর জন্য এক বছরের সময় দেওয়া হলেও সীমা সেই কাজ তিনমাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করেন।
দিল্লি পুলিশ ৭ অগাস্ট থেকে মোট ১,৪৪০ জন নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে ১,২২২ জন শিশুর নিখোঁজ অভিযোগ ওই সময়ে দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে শর্ত ছিল যে ৫০ বা তার বেশি নিখোঁজ শিশুর খোঁজ দিতে পারলেই কনস্টেবল ও হেড কনস্টেবলের রাতারাতি পদোন্নতি হবে। সীমা বিভিন্ন পুলিশ থানায় যোগাযোগ করে শিশুদের নিখোঁজ অভিযোগ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে এবং বিভিন্ন রাজ্য থেকে শিশুরা উদ্ধার হয়।
২০১৯ সালে ৫,৪১২ জন শিশু নিখোঁজ হয়, যার মধ্যে ৬১.৬৪ শতাংশ শিশুকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এ বছর দেশ থেকে মোট ৩,৫০৭ জন শিশু নিখোঁজ হয় এবং তার মধ্যে ৭৪.৯৬ শতাংশকে উদ্ধার করা গিয়েছে।
জঙ্গি নেতা হাফিজকে ১০ বছর জেলবন্দি করার নির্দেশ পাক আদালতের! কোন পথে ইসলামাবাদ