হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মাঝে ওরা অতন্দ্র প্রহরী, ভারত মাতা কী জয় স্লোগানে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন জওয়ানদের
হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মাঝে ওরা অতন্দ্র প্রহরী, ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন জওয়ানদের
হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মাঝে ওরা অতন্দ্র প্রহরী। প্রচণ্ড ঠান্ডা। হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রা প্রায় ২০ ডিগ্রির নিচে। তুষারাবৃত জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোলে এমন পরিস্থিতিতেই ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করলেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা।
কাশ্মীরের গুলমার্গে এই মুহূর্তে তাপমাত্র হিমাঙ্কের নিচে ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করছে। প্রতিকূল এই পরিবেশেই দেশের ৭২ তম সাধারণতন্ত্র উদযাপন করলেন জওয়ানরা।
অন্যদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বর্ডার আউটপোস্টে সকাল থেকে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার জওয়ানদের মধ্যে উৎসবের চেহারা ছিল। 'ভারত মাতা কী জয়' স্লোগানে চারিদিক মুখরিত। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্য়ে, প্রায় হিমাঙ্কের নিচে তামপাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচের, এই প্রতিকূলতাতেই ইন্দো-টিবেটান বর্ডার জওয়ানরা আজ ইন্দো-টিবেটান বর্ডারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন।
প্রসঙ্গত সীমান্তে চিনা সেনার অর্থাৎ লালফৌজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের ইন্দো-টিবেটান বর্ডার জওয়ানরা দেশকে সুরক্ষিত রাখছেন।
ভারত-চিন সীমান্তে গত আট মাস ধরেই সীমান্ত সমস্যা চলছে। সুযোগ পেলেই ভারতীয় ভূ-খণ্ডে ঢুকে পরার চেষ্টা চালাচ্ছে লালফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরায় রয়েছে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার সেনা।
প্রায় ৯০ হাজার জওয়ান নিয়ে গঠিত ইন্দো-টিবেটান বর্ডার জওয়ানরা মূলত চিনের সঙ্গে সাড়ে তিন হাজার লম্বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সুরক্ষায় মোতায়েন থাকে। ভারতের এই আধা সামরিক বাহিনীটি লাদাখের কারাকোরাম গিরিপথ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশের জাচেপ লা পর্যন্ত সীমান্তের নজরদারি করেন। উল্লেখ্য চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার মাঝে এবার আরও ১০ হাজার জওয়ান যোগ হলে বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা বেড়ে এক লক্ষে পৌঁছাবে।