৫০ জন ঋণ খেলাপিদের বাকি রয়েছে ৬৮,৬০৭ কোটি টাকা, জানালো আরবিআই
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অধীন এক তথ্য জানার অধিকারে জানিয়েছে যে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি প্রযুক্তিগতভাবে লিখে জানিয়েছে যে তারা প্রায় ৫০ জন ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে ৬৮,৬০৭ কোটি টাকা পায়। এর মধ্যে রয়েছে হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিও।

তথ্য জানার অধিকারে উঠে আসে এই তথ্য
বিশিষ্ট তথ্য জানার কর্মী সকেত গোখেল আরবিআইয়ের কাছে তথ্য জানার অধিকারে জানতে চেয়েছিলেন ৫০ জন শীর্ষ ঋণখেলাপিদের নাম ও এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঋণ শোধের অবস্থান কি। গোখলে বলেন, ‘আমি এই তথ্য জানার অধিকারে আবেদন করেছি কারণ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সংসদে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনের সময় কংগ্রের সাংসদ রাহুল গান্ধীর করা একই প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি।' গোখলে বলেন, ‘সরকার কী করেনি তা প্রকাশ করে আরবিআইয়ের কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক অভয় কুমার শনিবার (২৪ এপ্রিল) চমকপ্রদ জবাব দিয়েছিলেন এবং হীরা ব্যবসায়ী সহ বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের নাম রয়েছে সেই তালিকায়।'

বিদেশি ব্যাঙ্ক ঋণ খেলাপিদের তথ্য দেয়নি
আরবিআই জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পরিমাণ অর্থই (৬৮,৬০৭ কোটি) বাকি রয়েছে ৫০ ঋণ খেলাপিদের। প্রতিবেদনের পূর্ববর্তী সংস্করণে একটি অসাবধানতা ত্রুটি সৃষ্টি হয়েছিল, এখন এটি সংশোধন করা হয়েছে। গোখলে বলেন, ‘২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উদ্ধৃত করে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি ঋণগ্রহীতাদের তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে।'

তালিকায় শীর্ষে নাম মেহুল চোকসির সংস্থার
এই তালিকায় শীর্ষে নাম রয়েছে গীতাঞ্জলী জেমস লিমিটেড, চোকসির কেলেঙ্কারি সংস্থা, বাকি রয়েছে ৫,৪৯২ কোটি। এই সংস্থার পাশাপাশি গিলি ইন্ডিয়া (১,৪৪৭ কোটি) ও নক্ষত্র ব্র্যান্ডেরও (১,১০৯ কোটি) বিপুল পরিমাণ ঋণ বাকি রয়েছে। চোকসি বর্তমানে অ্যান্টিগুয়ার অ্যান্ড বারবাদোস ইসলেসের নাগরিক। তাঁর ভাইপো ও আর এক পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী লন্ডনে রয়েছেন। তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে আরইআই অ্যাগ্রো লিমিটেড, তাদের বাকি রয়েছে ৪,৩১৪ কোটি। এই সংস্থার ২ ডিরেক্টর সন্দীপ ঝুনঝুনওয়ালা ও সঞ্জয় ঝুনঝুনওয়ালা উভয়ই ইতিমধ্যে একবছর আগেই ইডির নজরে চলে এসেছে। ৪ হাজার কোটির বেশি ঋণ নিয়ে বসে রয়েছে পলাতক হিরে ব্যবসায়ী যতীন মেহতা, যাঁর সংস্থার নাম ইউনসাম ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলারি। সিবিআই প্রমাণ করেছে যে তিনি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন।