শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে উত্তর ভারত, দিল্লিতে জারি হলুদ সতর্কতা, বাতিল ৬২টি ট্রেন, রাজ্যের কটি ট্রেন বাতিল
শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে উত্তর ভারত, দিল্লিতে জারি হলুদ সতর্কতা, বাতিল ৬২টি ট্রেন, রাজ্যের কটি ট্রেন বাতিল
শীতে কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত। রাজধানী দিল্লিতে রেকর্ত তাপমাত্রার পতন। তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে রয়েছে কুয়াশা। তাই আগে থাকতেই সাবধান রেল। দুর্ঘটনা এড়াতে ৬২টি ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সব ট্রেনের তালিকাও তৈরি করে প্রকাশ করা হয়েছে। হঠাৎ করে ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে জেনে নিন। তাতে প্রভাব পড়বে রাজ্যের বাসিন্দাদেরও।
কাঁপছে দিল্লি
তীব্র শীতে কাঁপছে রাজধানী দিল্লি। গতকালের পর আজ ফের তাপমাত্রার পারদ পতন হয়েছে। রেকর্ড নেমেছে রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা। আইএমডির পক্ষ থেকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য। তারসঙ্গে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ক্রিসমাসে বৃষ্টিতে ভিজবে রাজধানী দিল্লি। তাতে আরও শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দিল্লির তীব্র ঠান্ডার পাশাপাশি গোটা উত্তর ভারতেও পারদ পতন জারি রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের এই সময়ে এতটা ঠান্ডা এর আগে কখনও পড়েনি উত্তর ভারতে।
বাতিল একাধিক ট্রেন
উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে এই তাপমাত্রার পারদ পতনে শঙ্কিত রেল। কুয়াশায় ঢাকা থাকছে আকাশ। যার জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাচ্ছে। শেষে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোনও সময় এমন আশঙ্কায় একাধিক ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। জানা গিয়েছে, ৬২ টি মেল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থেই এই মেল ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় দুর্ঘটনা কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেকারনেইআরও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কতদিনের জন্য বাতিল ট্রেন
ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উত্তর ভারত গামী ৬২টি ট্রেন ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে৷ সেই সঙ্গে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক ট্রেনের সংখ্যা। কানপুর শতাব্দী, গোরক্ষপুর হমসফর, ভাগলপুর শতাব্দী সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছ৷ অর্থাৎ সপ্তাহে যে ট্রেন গুলি তিন চার দিন চলে বা সপ্তাহে প্রতিদিন চলে সেগুলি কমিয়ে সপ্তাহে একদিন অথবা ২ দিন করে দেওয়া হয়েছে। এসে সমস্যায় পড়বেন বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের যাত্রীরা।
কোন কোন ট্রেন বাতিল
করোনা
পরিস্থিতির
কারণে
দফায়
দফায়
দীর্ঘ
সময়
বন্ধ
থেকেছে
ট্রেন।
লোকাল
ট্রেন
পরিষেবাও
বন্ধ
থেকেছে
দীর্ঘ
সময়।
ফরে
শীতের
কারনে
ফের
ট্রেন
বন্ধ
থাকলে
প্রভাব
পড়বে
রেলের
কোষাগারে।
ফেব্রুয়ারি
মাস
পর্যন্ত
যেসব
ট্রেন
বাতিল
হয়েছে
তার
মধ্যে
উল্লেখ
যোগ্য
লিচ্ছবি
এক্সপ্রেস,
হটিয়া
সুপারফাস্ট,
নয়া
দিল্লি
-রোহতক
ইন্টারসিটি,
নয়াদিল্লি
মালদহ
টাউন
এক্সপ্রেস,
আনন্দবিহার
টার্মিনাল,
সীতামাড়ি
লিচ্ছবি
এক্সপ্রেস,
আনন্দবিহার
মালদহ
টাউন
এক্সপ্রেস,
আনন্দবিহার
-গোরখপুর
এক্সপ্রেস,
পুরানি
দিল্লি-আলিপুরদুয়ার
মহানন্দা
এক্সপ্রেস,
আনন্দবিহার
-হাতিয়া
সুপারফাস্ট
এক্সপ্রেস,
আনন্দবিহার
টার্মিনাল-
সাঁতরাগাছি
এক্সপ্রেস৷
আর
যে
ট্রেনগুলির
সংখ্যা
কমবে
সেগুলি
হল,
কৈফিয়ত
এক্সপ্রেস,
ভাগলপুর
গরীবরথ
এক্সপ্রেস,
শ্রমজীবী
এক্সপ্রেস,
সম্পূর্ণক্রান্তি
এক্সপ্রেস,
মহাবোধি
এক্সপ্রেস,
বৈশালী
এক্সপ্রেস,
সপ্তক্রান্তি
এক্সপ্রেস,স্বতন্ত্রতা
সেনানী
এক্সপ্রেস,দানাপুর
জনসাধারণ
এক্সপ্রেস,
বিক্রমশীলা
এক্সপ্রেস
সত্যাগ্রহ
এক্সপ্রেস,আনন্দবিহার
টার্মিনাল
-মউ
এক্সপ্রেস,
কাশী
বিশ্বনাথ
এক্সপ্রেস,
আনন্দবিহার
টার্মিনাল
-কামাখ্যা
এক্সপ্রেস।