ভারতে করোনা সংক্রমণে মৃতদের ৬০ শতাংশই এই চারটি শহরের বাসিন্দা
দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃত্যুর ৬০ শতাংশ মারা গিয়েছে এই চারটে শহরে
করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। বুধবার পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৮০ জনের বেশি। তবে এর মধ্যে ৬০ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র চারটি শহরে। যার মধ্যে মহারাষ্ট্রে অর্ধেক মৃত্যু দেখা গিয়েছে। এমনিতেই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও যথেষ্ট বেশি। অধিকাংশ এলাকাই হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।
৪৫% মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে
জানা গিয়েছে, গোটা দেশে ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত মারা গিয়েছে ৩৮২ জন। যার মধ্যে ১৭৫ জন বা ৪৫% মহারাষ্ট্রে মারা গিয়েছে। থানা, ভাসাই, পনভেল, নবি মুম্বই ও মিরা ভায়ান্ডার সহ মুম্বই মেট্রোপলিটন সহ এলাকায় মোট মৃতের সংখ্যা ১২৭, সেখানে একা পুনেতেই ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুম্বই, পুনে, ইন্দোর ও দিল্লিতে সব মিলিয়ে ৬০ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে করোনায়। ৩৮২ জনের মধ্যে এই চার শহরেই মৃত্যু হয়েছে ২৩২ জনের। এছাড়াও আহমেদাবাদে ১৩ ও হায়দরাবাদে ১২, সব মিলিয়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ছ’টি শহরে মোট মৃত্যুর দুই–তৃতীয়াংশ হয়েছে
মোট মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যু হয়েছে ছ'টি শহর মিলিয়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩০টি মৃত্যু হয়েছে, ইন্দোরে ৩৭ ও মধ্যপ্রদেশে ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। করোনা পজিটিভ মানুষের তুলনায় ইন্দোর ও পুনেতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত পুনেতে ৩৭৪ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে এবং ৩৮ জন মারা যায়। এর অর্থ প্রত্যেক ১০ জন পজিটিভ কেসে একটি করে মৃত্যুর হার। ইন্দোরে ৪১১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে এবং ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। অর্থাৎ প্রতি ১১ জন আক্রান্তের পেছনে একটি করে মৃত্যু। দিল্লির তাবলিঘি জামাতের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণে ইন্দোরে পজিটিভ কেসের পাশাপাশি মৃত্যুও বেড়েছে।
মুম্বই দিল্লিতে এই অনুপাত কম
এই অনুপাতটি মুম্বই ও দিল্লিতে যথেষ্ট কম। গ্রেটার মুম্বই অঞ্চলে রেকর্ড করা ২,০৭৫ টি পজিটিভ কেসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়োছো। এটি প্রতি পজিটিভ কেসে একজনের মৃত্যুর হার দেয়। দিল্লিতে প্রতি ৫২ টি পজিটিভ কেসে একজনের মৃত্যু হয়েছে।