৬ ডিসেম্বর আম্বেদকরের মৃত্যুদিবস! কিন্তু মানুষের মনে তা এখন শুধুই বাবরি ধ্বংসের দিন
১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর বাসভবনে ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সংবিধানের প্রাণপুরুষ বাবাসাহেব আম্বেদকর। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৬ ডিসেম্বর দিনটি পালন করা হত তাঁর মৃত্যুদিবস। সরকারি ভাবে দিনটি এখনও তাঁর মৃত্যুদিবস হিসাবে পালিত হলেও এখন খুব কম জনই তা মনে রাখেন।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর
১৯৯২ সালের পর থেকে ৬ ডিসেম্বর শুধু বাবরি ধ্বংসের দিন হিসাবে পরিচিত হয়ে আসছে গত ২৮ বছর ধরে। ১৯৯০ সালে ভিমরাও রাজজি আম্বেদকরকে মরণোত্তর 'ভারত রত্ন' উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। তবে এর দুই বছর পরই তাঁর মৃত্যুদিবসের মাবাত্ম হারিয়ে যায় চিরতরে।

পবিত্র করসেবার দিন হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর পবিত্র করসেবার দিন হিসেবে নির্ধারিত ছিল। উচ্চ আদালত সেই দিন দেশের সমস্ত জায়গায় করসেবার অনুমতি দিয়েছিল। অযোধ্যায় কতজন করসেবক যেতে পারবেন, সেই সংখ্যা আদালত নির্ধারিত করে দেয়নি। কিছু অসাধু ও সমাজ বিরোধী এর মধ্যে ঢুকে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং বাবরি মসজিদ ধ্বসং হয়ে যায়।

কী হয়েছিল সেদিন
ওই দিন প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয় ৬টা ১৫মিনিটে। রাম জন্মভূমি পুলিশ স্টেশনে দায়ের করা ওই অভিযোগে করসেবকদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। প্রথম এফআইআর দায়েরের ঠিক দশ মিনিট পর, ৬টা ২৫মিনিটে রাম জন্মভূমি পুলিশ পোস্টের তৎকালীন ইনচার্জ গঙ্গাপ্রসাদ তিওয়ারি আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দ্বিতীয় এফআইআর-এ রাজনীতির উপাদান অবসম্ভাবী ভাবে বেশিই ছিল।

আম্বেদকরের মৃত্যুদিবসটি মানুষের স্মৃতি থেকে ঝাপসা হয়ে গিয়েছে
দ্বিতীয় এফআইআর স্থানীয় পুলিশের হাতে তদন্তের জন্য তুলে দেওয়া হয়। তবে দ্বিতীয় দিন এই মামলা সিবিআই এর কাছে হস্তান্তরিত করা হয়। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং পদত্যাগ করেন। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। সিবি, সিআইডি এই মামলার তদন্ত করে এবং চার্জশিট পেশ করে। এর পর পুরো মামলাটাই কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী ব্যুরো-এর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ২৮ বছর পর এদিন রায়দান হল এই মামলায়। তবে এতদিনে আম্বেদকরের মৃত্যু দিবসটি মানুষের স্মৃতি থেকে ঝাপসা হয়ে গিয়েছে।

ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি বড় বালাই! বাবরি মামলা রায়দানের পর চুপ মোদী, মুখ খুললেন না মমতাও