কাউকে না জানিয়েই ৫৯ জন কম্যান্ডো একসঙ্গে ছুটিতে, তদন্তের নির্দেশ !
সদ্য সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স তথা সিআরপিএফ-এ যোগ দেওয়ার পরেই তদন্ত ও শাস্তির মুখে ৫৯ জন নয়া কম্যান্ডো।
নয়াদিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি : সদ্য সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স তথা সিআরপিএফ-এ যোগ দেওয়ার পরেই তদন্ত ও শাস্তির মুখে ৫৯ জন নয়া কম্যান্ডো। ভারতের সর্বোচ্চ আধাসামরিক বাহিনীর এই ৫৯ সদস্য কাজে যোগ দেওয়ার আগে বিহারের হেডকোয়ার্টার যাত্রা বাতিল করে একসঙ্গে ছুটি কাটাতে বাড়ি চলে যায়, তাও আবার কাউকে কিছু না জানিয়েই।
শ্রীনগর থেকে ৫ দিনের সাধারণ প্রশিক্ষণের পরই বিহারের হেডকোয়ার্টারে এই ৫৯ জনের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রীনগর থেকে ফিরে বিহারে হেডকোয়ার্টারে না গিয়ে তারা কাউকে কিছু না জানিয়েই নিজেরা ছুটি কাটাতে যে যার বাড়ি চলে যান। আর এরই জেরে সিআরপিএফ-এর তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবারদিন মুঘলসরাই রেলস্টেশনের। আধিকারিকদের কথা অনুযায়ী, অভিযুক্ত কম্যান্ডোরা তাদের কমান্ডারকে কিছু না জানিয়েই আচমকা ট্রেন থেকে উধাও হয়ে যান।
শ্রীনগর থেকে ফিরে কম্যান্ডোদের ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিহারে পৌঁছনোর কথা ছিল। সিআরপিএফ ডিরেক্টর জেনারেল কে দুর্গাপ্রসাদ জানিয়েছেন, সিনিয়র আধিকারিকদের না জানিয়েই ছুটি নিলেও এই ৫৯ কম্যান্ডোকে পলাতক বলা যাবে না।
যদিও বাহিনীর কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টিকে একটু হাল্কা করে দেখানোর চেষ্টা হয়। তাদের তরফে বলা হয়েছে, কম্যান্ডোরা শ্রীনগর থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে ৫ ফেব্রুয়ারি জম্মু থেকে গয়া শিয়ালদহ এক্সপ্রেসে আসার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ার কম্যান্ডোদের ২ ফেব্রুয়ারিই ট্রেনে চড়িয়ে দেওয়া হয়। ৭ তারিখ তাদের বিহার পৌঁছনোর কথা ছিল। তারা যেহেতু সময়ের আগে পৌঁছে গিয়েছিল তাই তারা নিজেরাই ভেবে নেয় শনিবার ও রবিবারের ছুটিতে বাড়ি ঘুরে এসে কাজে যোগ দেবে। তবে এবিষয়ে তারা কারোর অনুমতি নেয়নি। ফলে অসদাচরণের অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে।