পাসপোর্ট বিতর্ক, টুইটারে ৫৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেলেন সুষমা স্বরাজ
ভিন্ন ধর্মে বিবাহিত এক দম্পতির পাসপোর্ট রিনিউ করতে অস্বীকার করায় লখণউ পাসপোর্ট অফিস থেকে এক কর্মীকে বদলি করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এই নিয়ে তাঁকে টুইটারে প্রবল আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু সেই টুইটারেই এই বিতর্কে তিনি পাশে পেলেন ৫৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন।

এই বিতর্ক নিয়ে সুষমা স্বরাজ টুইটারে একটি ভোট আয়োজন করেন। তাঁকে আক্রমণ করে করা কিছু টুইট তিনি রিটুইট করে জানতে চান, ভারতের নেটিজেনরা ওই ধরণের টুইটগুলিকে সমর্থন করে কি না। তাতে ১ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন। তাদের ৫৭ শতাংশ টুইটগুলিকে সমর্থন না করলেও বাকি ৪৩ শতাংশ কিন্তু সুষমার বিরুদ্ধেই গিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় দিন কয়েক আগে। লখণউ-এর এক ভিনধর্মে বিবাহিত দম্পতি তাঁদের পাসপোর্ট পুনর্নবিকরণের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের পাসপোর্ট তো দেওয়াই হয়নি উল্টে তাঁদের অপমান করেন বিকাশ মিশ্র নামের এক পাসপোর্ট কর্মী।
দম্পতির অভিযোগ, ওই মহিলা পাসপোর্ট অফিসে গেলে বলা হয়, তিনি মুসলিমকে বিয়ে করা সত্ত্বেও পাসপোর্টে তাঁর হিন্দু নাম থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে। এমনকী তাঁর মুসলিম স্বামীকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত না হলে পাসপোর্ট দেওয়া হবে না বলেও জানান বিকাশ, এরকমটাই অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিদেশ মন্ত্রক থেকে বিকাশকে বদলি করে দেওয়া হয়।
Friends : I have liked some tweets. This is happening for the last few days. Do you approve of such tweets ? Please RT
— Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) June 30, 2018
কিন্তু এরপরই টুইটারে নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে পড়েন সুষমা। বলা হয় তিনি মুসলিম তোষণ করছেন। বিনা দোষে বিকাশকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এমনকী ছাড় পাননি সুষমার স্বামীও। তাঁকে বলে হয় সুষমাকে 'পিটিয়ে' সবক শেখাতে। স্বাভাবিক ভাবেই সুষমার স্বামী এই ধরণের টুইটের প্রতিবাদ করেছিলেন।
এরপরই সুষমা টুইটারে ওই ভোট শুরু করেন। তবে তাঁকে আক্রমণ করে করা টুইটগুলির বেশিরভাগই মৌলবাদী চরিত্রের হওয়ায় চাইলেই সেই টুইটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশশ কুমারের কথায় অবশ্য কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত মেলেনি। তিনি জানান, সিষমাকে আক্রমণ করে করা টুইটের জবাব তিনিই তাঁর মতো করে দেবেন। যেরকম জবাব তাঁর মতো মানুষের পক্ষে মানানসই।