যোগীর কেন্দ্রে সরকারি হাসপাতালে শিশু মৃত্যু অব্যাহত, ৪ দিনে ৫৫টি শিশুর মৃত্যু
গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যু অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত ৪ দিনে ৫৫ টি শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যু অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত ৪ দিনে ৫৫ টি শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: লখনৌ-এ অধীর-যোগী বৈঠক, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে]
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজে ৪ দিনে যে ৫৫ টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৯ টি শিশু মারা গিয়েছে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নভেম্বরের ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে ৬৫টি শিশুকে ভর্তি করানো হয়েছিল এই হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। এর মধ্যে চিকিৎসা চলাকালীন ২২ টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে ১৭৮টি শিশুকে ভর্তি করানো হয়েছিল। এরমধ্যে ২১টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বেশির ভাগ শিশুরই মৃত্যু হয়েছে এনসেফেলাইটিস এবং অন্য নানা রোগে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে এই হাসপাতালে ১৯০০ টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগই মারা গিয়েছে এনসেফেলাইটিসে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ শিশুকেই খুবর খারাপ পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ফলে মৃত্যুর হারও বেশি।
বিআরডি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিস্তীর্ণ অঞ্চলের একমাত্র স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ফলে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিহার এবং নেপালের বাসিন্দারাও আসেন চিকিৎসার জন্য।
মাস দুয়েক আগে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। যদিও অক্সিজেনের অভাবের কথা অস্বীকার করেছিল সরকার। তখনকার প্রিন্সিপাল আরকে মিশ্রা এবং অনা বাকি ছয়জনকে সাসপেন্ড এবং গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী শিশু মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের দায়ী করেছিলেন। তাঁরা মনোযোগের সঙ্গে কাজ করছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগের বছরগুলি থেকে ওই হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২০১৪ সালে ৫৮৫০ এবং ২০১৫ সালে সংখ্যাটা ছিল ৬৯১৭।