পাকিস্তান থেকে ভারতে ফেরার পাঁচ বছর পর মহারাষ্ট্রে পরিবারের খোঁজে মূক–বধির গীতা
পাকিস্তান থেকে ভারতে ফেরার পাঁচ বছর পর মহারাষ্ট্রে পরিবারের খোঁজে মূক–বধির গীতা
পাকিস্তান থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন প্রায় পাঁচ বছর, এবার পরিবারের খোঁজ শুরু করলেন মূক ও বধির গীতা। ২০১৫ সালে ইন্দোরে বসবাসকারী গীতাকে পাকিস্তান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। কিছু বছর এখানে থাকার পর তিনি মহারাষ্ট্রের নান্দেদে নিজের পরিবারকে খুঁজে পাওয়ার আশায় এখানে এসেছেন। ২০ বছর আগে সাত বা আট বছর বয়সে গীতাকে একা বসে থাকতে দেখা যায় লাহোর স্টেশনের সমঝোতা এক্সপ্রেসে। ইধি ফাউন্ডেশনের একজন গীতাকে এরপর দত্তক নেয়।
গীতাকে ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই সময় এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, তিনি গীতাকে 'হিন্দুস্তান কি বেটি’ অ্যাখা দিয়েছিলেন। সুষমা স্বরাজ গীতার সঙ্গে দেখাও করেন এবং তাঁকে আশ্বাস দেন যে সরকার তাঁর পরিবারকে খোঁজার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ৩০ বছরের আশেপাশে বয়স গীতার। এখন তিন বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের আনন্দ সার্ভিস সোসাইটি নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে রয়েছেন, এরা শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করেন। অনেক দম্পতি গীতাকে তার অভিভাবক বলেছিলেন কিন্তু গীতাকে কাউকেই চিনতে পারেনি। ইন্দোরের সরকারি আধাকারিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রমাগত গীতার পরিবারকে খোঁজার চেষ্টা করে চলেছেন।
গীতা নিজেও আশা ছাড়েননি এবং সেই বিশ্বাস মনে রেখেই তিনি মঙ্গলবার নান্দেদে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য, যাঁরা গীতার পরিবার ও বাড়ি খোঁজার এই সফরে সঙ্গ দিচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাঙ্কেতিক ভাষা বিশারদ জ্ঞানেন্দ্র পুরোহিতের মাধ্যমে গীতা জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর অভিভাবকদের খোঁজ চালাচ্ছেন। গীতা জানিয়েছেন যে তাঁর বাড়ি রেল স্টেশনের কাছে এবং সেখানে হাসপাতাল, মন্দির ও নদী রয়েছে কাছকাছি। এই বিষয়কে পাথেয় করেই গীতা নান্দেদে এসেছেন।
জ্ঞানেন্দ্র পুরোহিত বলেন, 'সচখন্ড এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন নান্দেদ থেকে অমৃতসর যায় এবং সমঝোতা এক্সপ্রেস, যেখানে গীতাকে পাওয়া গিয়েছে, তা অমৃতসর থেকে পাকিস্তানে যায়।’ তিনি আরও জানিয়েছেন তেলঙ্গানার একটি শহরের নাম বসার, যা নান্দেদ থেকে ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত। তার সঙ্গে গীতার ছোটবেলার বর্ণিত বাড়ির সঙ্গে জায়গার মিল রয়েছে, তাই তাঁরা সকলে এখানে এসেছেন।
চাপের মুখে জিনপিং সরকার! চিনের বিরুদ্ধে 'করোনা তদন্ত’ শুরুর পথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা