অনলাইনে ইউপিআইয়ে লেনদেন করেন তো? এই পাঁচটি আবশ্যক নিয়ম মেনে চলুন
ইউপিআইয়ে লেন–দেন? এই পাঁচটি আবশ্যক নিয়ম মেনে চলুন
অনলাইন ট্রানজাকশন ইউপিআই মারফত হওয়া মানেই নিশ্চিন্ত। জালিয়াতি হওয়ার জায়গা নেই। এই তথ্য কিন্তু পুরোপুরি সঠিক নয়। ইউপিআই বা ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস মারফত টাকা লেন–দেন করলে, সেখানে থেকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যেতে পারে জালিয়াতের দল। অজান্তেই আপনার টাকা হাতিয়ে নিতে পারে সে। সম্প্রতি, গুগল পে, ফোন পে সহ আরও বেশ কিছু অ্যাপ ইউপিআই সহ লেনদেন পক্রিয়া সম্পন্ন করে। ডিজিটাল পেমেন্টের যুগে বুলেটের গতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপগুলি। এ বছরের জানুয়ারিতেই ভারতে ইউপিআই মারফত ১.৩ বিলিয়ন লেন–দেন হয়েছে ২.১৬ ট্রিলিয়ন অর্থের। এই অর্থ প্রদানের পদ্ধতিটির ব্যবহার এবং গ্রহণযোগ্যতা প্রসারণের সঙ্গে সম্পর্কিত জালিয়াতির ঝুঁকিগুলিও বৃদ্ধি পায়। জালিয়াতি ঠেকাতে এই চারটি বিষয় মেনে চলুন।
অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধ থেকে সতর্ক থাকুন
ইউপিআই ভিত্তিক ভীম বা গুগল পে অ্যাপে অর্থ স্থানান্তর করার অনুরোধের বিকল্প থাকে। অনলাইন বা অফলাইনে থাকা ক্রেতাদের প্রতারকরা পিন নম্বরের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতে বলে। এটা মনে রাখতে হবে যে অর্থ নেওয়ার সময় কোনও পিন নম্বরের প্রয়োজন হয় না। মনে রাখাবেন, ইউপিআই মারফত টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকা পাওয়ার জন্য কিছু করার দরকার হয় না। সুতরাং এই ধরনের মেসেজ ভুল। আপনার অ্যাপে অজানা নম্বর থেকে যে টাকা ঢোকার অনুরোধ এসেছে সেটা আপনি বাতিল করতে পারেন অথবা নম্বরটি ব্লক করে তা স্পাম রিপোর্ট করে দিতে পারেন। গুগল পে-তে আপনাকে সবসময় আপনার কনট্যাক্ট লিস্টে নেই এমন নম্বর সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। যদি আপনি আগেই কোনও নম্বরকে স্পাম রিপোর্ট করেন তবে স্পাম সতর্কতাও আপনাকে দেখাবে। ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ ও ভুয়ো কল সেন্টারের ফোন এড়িয়ে চলুন
অনেকসময়ই ইউপিআই অ্যাপে লেন-দেনের পদ্ধতি ব্যর্থ হয়। তা অনেকসময়ই ইন্টারনেটের কারণে। গ্রাহকদের এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা খুবই সাধারণ ব্যাপার। অনেকসময়ই গ্রাহকরা এই প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার বিষয়ে টুইটার বা ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করেন। এই পোস্টটি আপনার লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার্সদের সঙ্গে সঙ্গে প্রতারকদের নজরেও আসে। তারা পরে অ্যাপের কাস্টমার কেয়ারের নাম করে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাই নিজের ফোন নম্বর কখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া উচিত নয়। জেনে রাখা ভালো, সব পেমেন্ট অ্যাপ, এমনকী ব্যাঙ্কেরও ২৪/৭ হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে, যেখানে গ্রাহকরা সরাসরি ফোন করতে পারেন এবং তারা কোনও সময়ই কার্ডের তথ্য বা সিভিভি বা ওটিপি চাইবে না।
অসুরক্ষিত অ্যাপ ডাউনলোড নয়
এমন কোনও অ্যাপ নিজের ফোনে ডাউনলোড করবেন না যার যাচাইকরণ হয়নি। প্রতারকরা আপনাকে যাচাই হয়েছে এমন অ্যাপ ডাউনলোডের জন্য চাপ দেবে, কিন্তু সেই ফাঁদে না পড়াই ভালো। আরবিআইয়ের কাছে এমন অনেক অভিযোগ এসেছে যেখানে বলা হয়েছে যে স্ক্রিন-শেয়ারিং অ্যাপ গ্রাহকদের ফোনকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ফোন নম্বরের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা অন্য ব্যাঙ্কে চলে যাচ্ছে। অজানা কোনও সূত্র থেকে টেক্সট মেসেজ বা ই-মেলে অথবা হোয়াটস অ্যাপে কোনও লিঙ্ক আসলে তাতে ক্লিক করতে নিষেধ করা হচ্ছে।
নিজের ফোনকে সুরক্ষিত রাখুন
কঠিন নম্বর বা প্যাটার্ন বা বায়োমেট্রিক পাসওয়ার্ড দিয়ে নিজের ফোনকে সুরক্ষিত রাখুন। দ্বিতীয়ত একটু অন্য ধরনের পিন নম্বর দিন বিভিন্ন ইউপিআই বা পেমেন্ট অ্যাপে। ফোন এবং অ্যাপ আপডেটেড কিনা তা লক্ষ্য রাখবেন। অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যারও আপনার ফোনকে ভাইরাস ও অনাবশ্যক অ্যাপ ডাউনলোড থেকে রক্ষা করবে।