অযোধ্যা মামলার নেপথ্যে রয়েছে যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
প্রায় ১৬০ বছর ধরে চলছে এই বিতর্ক। স্বাধীনতার আগে ৯০ বছর আর স্বাধীনতার পরে ৭০ বছর।
আজই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, ৪০ দিনের ম্যারাথন শুনানির পর চূড়ান্ত অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার চূড়ান্ত রায়দান করল সুপ্রিম কোর্ট।তাতে রাম জন্মভূমির বিতর্কিত জমি হিন্দুদের দেওয়া হয়েছে। আর মসজিদ তৈরির জন্য ৫ একর জমি আলাদা করে দেওয়া হয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। ব্রিটিশ আমল থেকে যে বিতর্কের সূত্রপাত তার অবসান হতে চলেছে আজ। প্রায় ১৬০ বছর ধরে চলছে এই বিতর্ক। স্বাধীনতার আগে ৯০ বছর আর স্বাধীনতার পরে ৭০ বছর। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম বিতর্কিত মামলা এটি।
১৮৪৯ সালে প্রথম শুরু হয়েছিল বিতর্ক। বাবরি মসজিতের ভেতরে হিন্দু দেবতার মূর্তি প্রতিস্থাপন করা নিয়ে তুমুল গণ্ডগোল শুরু হয়। তারপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বাবরি মসজিদ এবং রাম মন্দিরে প্রবেশের পথ। এই নিদে আদালতের দ্বারস্থ হয় একাধিক পক্ষ।
স্বাধীনতার ৭০ বছর ধরে এই অযোধ্যা জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করেই রাজনীতির উত্থান পতন ঘটেছে। এই মামলাকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করেছে একাধিক দল। রাজ্যস্তরে থাকা একটি বিতর্ক ক্রমে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও প্রবেশ করেছিল। যাকে হাতিয়ার করে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেস হয়েছে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। মাথাচারা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি।
১৫২৮ সাল থেকে অযোধ্যা বিবাদ মাথাচারা দিয়েছে। েসটি নিয়ে আইনি জটিলতা প্রথম তৈরি হয় ১৮৮৫ সালে। যখন প্রথম অযোধ্যার জমি হিন্দুদের দাবি করে ফৈজাবাদ জেলা আদালতে মামলা করেন মোহন রঘুবীর দাস। তারপরেই শুরু হয় প্রথম সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ।
হিন্দুদের
কড়া
জবাব
দিতে
১৯৮৬
সালে
প্রথম
তৈরি
হয়
বাবরি
মসজিদ
অ্যাকশন
কমিটি।
এই
কমিটির
প্রধান
নির্বাচিত
হন
লখনউয়ের
বিশিষ্ট
শিক্ষাবিদ
আলি
মিঞা।
তাঁর
নেতৃত্বেই
বাবরি
মসজিদের
আন্দোলন
মাথাচারা
দেয়।
অন্যদিকে
হিন্দুদের
পথে
রামমন্দির
আন্দোলনের
তিন
কান্ডারি
ছিলেন
রামচন্দ্র
দাস,
অশোক
সিঙ্ঘল
এবং
এলকে
আদবানী।
অযোধ্যা রায় : মামলা এক, মামলাকারী ছয়, জেনে নিন তাঁদের পরিচয়
অযোধ্যা রায় : জমি রাম লালার, মুসলিমদের অন্যত্র জমি দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের