স্টক মার্কেটে বড়সড় ধাক্কার নেপথ্যে রয়েছে এই কারণগুলি
পর পর ৬ টি সেশনে শেয়ার বাজারের পতন রীতিমত বেসামাল করে দিয়েছে বহু লগ্নীকারীকে। বিএসসি সেনসেক্স বিপদ সীমার নীচে চলে যাওয়ার ঘটনায় আজ কার্যত বড় ধাক্কায় খায় মুম্বইয়ের দালাল স্ট্রিট।
পর পর ৬ টি সেশনে শেয়ার বাজারের পতন রীতিমত বেসামাল করে দিয়েছে বহু লগ্নীকারীকে। বিএসসি সেনসেক্স বিপদ সীমার নীচে চলে যাওয়ার ঘটনায় আজ কার্যত বড় ধাক্কায় খায় মুম্বইয়ের দালাল স্ট্রিট। আজ ১৬৮ পয়েন্ট খুইয়ে এনএসসি থেমেছে ১০, ৪৯৮ এ আর সেনসেক্স দিনের শেষে থেমেছে ৩৪, ১৯৫ পয়েন্টে।
ওয়ালস্ট্রিটে ধস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটে রেকর্ড ক্ষতির কারণে আতঙ্কিত হতে থাকে বাজার। ক্রমেই তার প্রভাস এসে পড়ে এশিয়ার মার্কেটে। ক্রমান্বয়ে পতন শুরু হয় এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলিতে। ২০১১১ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় পতন ওয়ালস্ট্রিটে।
[আরও পড়ুন: সেনসেক্সে পতনে ধরাসায়ী দালাল স্ট্রিট,৩ দিনে ক্ষতি ৯.৬ লক্ষকোটি ]
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নীতি
একদিকে যখন মার্কিন শেয়ার বাজারের প্রভাব মুম্বইয়ের দালাল স্ট্রিটে আসতে সুরু করে, তখন ভারতীয় লগ্নিকারীরা ক্রমেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নিয়ে বিচলিত হতে থাকেন। তাঁরা মনে করতে থাকেন, যে এর ফলে হয়তো আরবিআই বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বাড়িয়ে দেবে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে গিয়ে। এই ঘটনার প্রভাবও পড়ে দালাল স্ট্রিটে।
আভ্যন্তরীণ বাজার
আরবিআই-এর মৌদ্রিক নীতি নিয়ে অনেক লগ্নিকারীই চিন্তায় ছিলেন। এদিকে, ডলারের প্রেক্ষিতে টাকার দাম ২৯পয়সা কমে ৬৪.৩৬ দাঁড়ায়। যা রীতিমত ত্রস্ত করে দেয় মার্কেটকে।
কত ক্ষতি হয়েছে?
গত ৩ দিনে লগ্নিকারীদের ক্ষতি হয়েছে ৯.৬ লক্ষ কোটি টাকা। তার সঙ্গে বাজেটে প্রস্তাবিত ট্যাক্স ইকুইটির মতো বিষয়গুলিও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে এই পরিস্থিতিতে।
বিক্রির চাপ
বিক্রি খুব জোরদার হতে থাকায় টেনে নামিয়ে দেয় সেনসেক্স ও নিফটিকে। বিদেশী লগ্নিকারীরা ইক্যুইটি বিক্রি করেছেন প্রায় ১, ২৬৩.৫৭ কোটি টাকার।