মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পাঁচজন সমাজকর্মীকে গর্ণধর্ষণ বিজেপি শাসিত রাজ্যে
একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংগঠনের পাঁচজন মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল ঝাড়খণ্ডে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে পাঁচজনকে।
একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংগঠনের পাঁচজন মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল ঝাড়খণ্ডে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে পাঁচজনকে। তাঁদের সঙ্গে যে পুরুষরা ছিলেন তাদের মারধর করা হয়েছে। ধর্ষকরা ভিডিও বানিয়ে মহিসাদের শাঁসিয়ে গিয়েছে। এই খবর বাইরে বেরোলে এই ভিডিও প্রকাশ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় খ্রিস্টান মিশনারির সাহায্যে চলা একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থার ১১জন সদস্য ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে ৫০ কিমি দূরে খুঁটি জেলার কোচাংয়ে যান একটি পথনাটিকা দেখতে। সেটি মানব পাচার আটকাতে প্রচারের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছিল।
সেই অনুষ্ঠানের মাঝেই একদল দুষ্কৃতী বাইকে চেপে আসে। সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র ছিল। পুরুষদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনঘণ্টা পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মহিলাদের সঙ্গে দুজন সন্ন্যাসিনী ছিলেন। তাদের অবশ্য কিছু করা হয়নি।
দুষ্কৃতীদের ভয়ে মহিলারা স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগ জানাননি। প্রশাসনের তরফে ঘটনা সামনে আসে। পরে মামলা দায়ের হয়। পুলিশ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে মহিলাদের।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় আদিবাসী নিয়ম মেনে এরা চলেন। রাষ্ট্রযন্ত্রের উপরে এদের বিশ্বাস নেই। সংবিধানই তাদের নিয়ম মেনে চলার অধিকার দিয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন। পাথালগড়ি আদিবাসী ব্যবস্থাকে তারা মান্যতা দেন। এমনকী পুলিশও গ্রামে তাদের অনুমতি ছাড়া ঢুকতে পারে না।