২০০৮-র আহমেদাবাদ বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৪৯ জন, বেকসুর খালাস পেলেন ২৮ জন
২০০৮-র আহমেদাবাদ বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৪৯ জন, বেকসুর খালাস পেলেন ২৮ জন
২০০৮ সালের আহমেদাবাদ বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বিচারক এআর পাতিল এই রায় ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে ২৮ জনকে বেকরসুর ঘোষণা করা হয়েছে। মামলার রায় ঘোষণার দিনই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। এবং সব দোষীদে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে আহমেদাবাদে ৭০ মিনিটের ব্যবধানের মধ্যে ২১টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর সিরিয়াল বিস্ফোরণ।
এই সিরিয়াল বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন প্রায় ২০০ জন। ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কাজ করেছে বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। তার দায় স্বীকারও করেছিলেন তারা। তারপরেই একে একে গ্রেফতারি পর্ব শুরু হয় এবং মোট ৭৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৩ বছর ধরে চলেছে মামলার শুনানি।
শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করে গুজরাত আদালত। সব অভিযুক্তকেই আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবী যে তথ্য প্রমাণ পেশ করেছে তাতে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রমাণ মিলেছে। সেদিন এই বিস্ফোরণের জন্য ৪৯ জন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কাজ করেছে। জঙ্গি সংগঠনের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর সবরকম কাজ করেছিল তারা। বাকি ২৮ জনের বিরুদ্ধে তেমন কোনও পোক্ত প্রমাণ পেশ করতে পারেননি তদন্তকারীরা সেকারণেই তাঁদের বেকসুর মুক্তি দিয়েছে আদালত। যদিও মুক্তি দেওয়ার আগেই ১৬ বছর জেল খেটে ফেলেছে তারা। বাকিরা যাবজ্জীবণ কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলা চলাকালীন ১৬ বছর জেলে কাটিয়ে ফেলেছে এই অভিযুক্তরা।
আহমেদাবাদকে বরাবরই টার্গেট করেছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন। সমুদ্র পথে জঙ্গিরা গুজরাত উপকূল দিয়েই প্রবেশ করার চেষ্টা করে। মুম্বইয়ে বিস্ফোরণের ঘটনাতেও সমুদ্র পথেই জঙ্গিরা প্রবেশ করেছিল ভারতে। তার পর থেকে আরব সাগরের সীমান্ত পাহারায় তৎপর হয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। গুজরাত উপকূলে কয়েকদিন আগেই ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকায় গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। এক মৎস্যজীবীর মৃত্যুও হয়েছিল সেই ঘটনায়। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাও তৈরি হয়েছিল।