আর্থিক প্যাকেজের বাস্তবায়ন কোথায়? কেন্দ্রের ঘোষণায় এখনও অসন্তুষ্ট ৪৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আর্থিক প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
৩ লাখ কোটির ঋণ সহ একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা
এই আর্থিক প্যাকেজে দেশের ক্ষুদ্র ও ছোটো শিল্পের জন্য ৩ লাখ কোটির ঋণ সহ একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই সিদ্ধান্ত প্রকৃত অর্থে এমএসএমই ক্ষেত্রের সংজ্ঞা বদলে দিতে পারে। তবে এই ঘোষণাগুলির যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।
একাধিক সমস্যায় ভুগছে দেশের ক্ষুদ্র, ছোটো, মাঝারি শিল্পগুলি
দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক সমস্যায় ভুগছে দেশের ক্ষুদ্র, ছোটো, মাঝারি শিল্পগুলি। বিনিয়োগ থেকে শুরু করে লভ্য়াংশ- সব ক্ষেত্রেই একাধিক প্রতিবন্ধকতা ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ছোটো শিল্পগুলির অবস্থা আরও খারাপ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার তৈরিতে দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছে এই ক্ষুদ্র, ছোটো, মাঝারি উদ্যোগপতিরা।
এমএএমই-র সংজ্ঞা বদল
এবিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কিছু ছোটো ও মাঝারি উদ্যোগপতি আশঙ্কায় রয়েছেন। ভাবছেন, যদি তাঁদের ব্যবসা বেড়ে যায়, তাহলে ছোটো ও ছোটো ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রদত্ত সুবিধা পাবেন না। তাই এমএএমই-র সংজ্ঞা বদলে ফেলা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় প্যাকেজে অসন্তুষ্ট ৪৪ শতাংশ সংস্থা
তবে এত কিছুর পরও সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে ৪৪ শতাংশ এমএসএমই কেন্দ্রের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয়। জানা গিয়েছে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া সংস্থাগুলির ৮৬ শতাংশ আশা করেছিল যে তাদের হাতে সরাসরি টাকা তুলে দেওয়া হবে। অর্থযোগান না থাকায় এই সংস্থাগুলি কর্মী ছাটাই করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু মাত্র দিল্লিতেই ২৫ শতাংশ এমএসএমই সংস্থা তাদের কর্মী ছাটাই করেছে।
এমএসএমই-র অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না
অর্থমন্ত্রী জানান, এমএমএসই-র ক্ষেত্রে ৩ লাখ কোটির ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে। চার বছরের মেয়াদ হবে এই ঋণের। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই প্য়াকেজ থেকে ৪৫ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এই প্রকল্পে উপকৃত হবে। এছাড়াও অনাদায়ী ঋণগ্রস্ত এমএসএমই-কে ২০ হাজার কোটি টাকার অনুদান দেওয়া হবে। এর জেরে উপকৃত হবে প্রায় ২ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। তবে এসবেও এমএসএমই-দের অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না বলেই দাবি সংস্থাগুলির।
লাদাখ সীমান্তে চিনের ১৫টি ট্যাঙ্ক! শান্তিবার্তা দিয়েও যুদ্ধের প্রস্তুতি বেজিংয়ের