অপারেশনে রোগীর গলব্লাডার থেকে বেরলো ৪১০০ টি পাথর!
নাসিকের এক হাসপাতালে এক ৪৩ বছরের রোগীর গলব্লাডার থেকে বেরলো ৪ হাজার ১০০ টি পাথর!
নাসিকের এক হাসপাতালে এক ৪৩ বছরের রোগীর গলব্লাডার থেকে বেরলো ৪ হাজার ১০০ টি পাথর! যোগেশ যেওলে নামের ওই ব্যক্তি হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন। দোকানেই তাঁর হঠাৎ প্রচন্ড পেটে ব্যাথা শুরু হয়েছিল।
ঘটনাটি গত সপ্তাহের। গত ২৪ মে তারিখে তাঁকে ভর্তি করা হয় নাসিকের কৃষ্ণা হাসপাতালে। ডাঃ অমিত শরদ কেলে বিভিন্ন পরীক্ষা করে বোঝেন তাঁর গলব্লাডারে স্টোন হয়েছে। সেই মতো গত শনিবার তাঁর অপারেশন করা হয়। কিন্তু অপারেশন করতে গিয়েই ডাক্তারদের চোখ কপালে ওঠে। ডাঃ কেলে জানান একের পর এক ৩ থেকে ৪ মিলিমিটার ব্যাসের পাথর বের হতে থাকে। গোটা অপারেশনটি সম্পন্ন করতে প্রায় চার ঘন্টা লেগে যায়। অপারেশনের পর হাসপাতালের দুজন কর্মী মিলে গুনে দেখেন মোট ৪ হাজার ১০০ টি পাথর রয়েছে!
শরীর থেকে অপারেশন করে এতগুলি গলস্টোন বের করার ঘটনা বিরল। তবে এটি কিন্তু রেকর্ড নয়। অপারেশন করে সবচেয়ে বেশি গলস্টোন বের করার রেকর্ডটি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ডাক্তার এম এল সাহার দখলে। ২০১৫-য় ডাঃ সাহা এক রোগীর দেহ থেকে মোট ১১ হাজার ৯৫০ টি পাথর বের করেন।
অপারেশনের পর থেকে যোগেশ যেওলে ভালই আছেন। ডাঃ কেলে জানিয়েছেন তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। এখন ষথেষ্টই সুস্থ। কাল-পরশুইই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি এই বিরল ঘটনার সুযোগে সাধারণ মানুষকে সচেতনও করেছেন গলব্লাডারে স্টোন হওয়া নিয়ে। তিনি জানান, স্থুলতা, ডায়াবেটিস, অনিয়নিত খাদ্যাভ্যাস, কোলেস্টেরল বাড়া - গলস্টোন হওয়ার অন্যতম কারণ। এই রোগ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় মহিলাদের মধ্যে।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে কোলেস্টেরল জমে জমেই এই পাথরগুলি সৃষ্টি হয়। আগে থেকে চিকিৎসা করালে পাথর জমার সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু পেটে অসহ্য ব্যাথা না হলে কেউই ডাক্তারদের কাছে আসেন না। তখন আর অপারেশন করা ছাড়া উপায় থাকে না। পাশপাশি তিনি জানান, প্রতি ১০০০ জন রোগার মধ্যে ১ দনের কিন্তু গলস্টোন থেকে গলব্লাডারে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।