পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে করোনার হামলা, সেবায়ত–কর্মী সহ আক্রান্ত ৪০৪ জন
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে করোনার হামলা, সেবায়ত–কর্মী সহ আক্রান্ত ৪০৪ জন
করোনার প্রকোপ এবার তীব্রভাবে দেখা দিল ওড়িশাতে। জানা গিয়েছে, পুরীর শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরের ৩৫১ জন সেবায়ত ও ৫৩ জন কর্মী কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রশাসক অজয় জেনা জানিয়েছেন যে ১২ শতাব্দীর এই ঐতিহ্যময় মন্দিরের মোট ৪০৪ জন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে এতজন সেবায়তের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ভগবান জগন্নাথের পুজোর সব রীতি–নিয়ম পালন করা হবে। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল এই মন্দিরটি।
মন্দিরের
পক্ষ
থেকে
বলা
হয়েছে
যে
অধিকাংশ
সেবায়তের
রিপোর্ট
পজিটিভ
আসার
পর
তাঁরা
বাড়িতেই
আইসোলেশনে
রয়েছেন
এবং
জগন্নাথ
পুজোর
রীতি
জানেন
এমন
লোকের
সংখ্যার
ঘাটতি
পড়েছে।
কমপক্ষে
১৩
জন
পুরোহিতের
একটি
দল
ভগবান
বলভদ্র,
দেবী
সুভদ্রা
ও
ভগবান
জগন্নাথ
এই
তিন
ভাইবোনের
পুজোর
আচার–রীতি
পালন
করেন।
এছাড়াও
অন্যান্য
সেবায়ত
সহ
৩৯
জন
পুরোহিতের
উপস্থিতিতে
পুরনো
ভগবান
বিষ্ণুর
মন্দিরে
পুজো
হয়।
এই
মন্দিরে
পুজো
শুরু
হয়েছে
ভগনাথ
জগন্নাথ
দেবের
পুজোর
আমল
থেকেই।
পুরির
মন্দিররে
এই
অভিনব
পুজো
একে–অপরের
সঙ্গে
পরস্পর
যুক্ত,
যা
শুরু
হয়
প্রত্যেকদিন
ভোরবেলায়
এবং
চলে
গভীর
রাত
পর্যন্ত।
মন্দিরের
পরম্পরাগত
নিয়ম
অনুসারে,
একটা
রীতি
যদি
পালন
না
হয়
তবে
অন্য
রীতি
শুরু
করা
যাবে
না,
জগন্নাথ
সংস্কৃতির
গবেষক
ভাস্কর
মিশ্র
জানান।
তিনি জানিয়েছেন যে যদি প্রচুর সেবায়তের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে আগামী দিনে, তবে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তখন প্রশাসকদের জগন্নাথের সেবায় অভিজ্ঞতায় ছোট সেবায়কদের দায়িত্ব দিতে হবে।
পুরীতে এমনিতেই কোভিড–১৯ কেস ধরা পড়েছে মোট ৯,৭০৪টি, যার মধ্যে পুরী পুরসভাতেই ১,২৫৫টি কেস রয়েছে। এই জেলায় ৫২ জনের মৃত্যুও হয়েছে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে পুরী পুরসভা এলাকা থেকে। জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন যে পুরী শহরের ৯ জনের মধ্যে তিনজনই জগন্নাথ দেবের সেবায়ত ছিলেন। প্রসঙ্গত, এ বছর রথযাত্রার সময় যে সমস্ত সেবায়ত নিয়ুক্ত ছিলেন তাঁদের করোনা টেস্ট করায় প্রশাসন। তার মধ্যে মাত্র ২ জন সেবায়তের পজিটিভ আসে।
করোনা আবহে ফের নির্বাচনী ডঙ্কা দেশে! ঘোষিত ১১ টি রাজ্যের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ