উত্তরপ্রদেশের বাগপতে যমুনা নদীতে নৌকাডুবি, মৃত কমপক্ষে ৪০
নৌকা উল্টে কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাগপতে, যমুনা নদীতে। অত্যধিক যাত্রী বহনের ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের
নৌকা উল্টে কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাগপতে, যমুনা নদীতে। অত্যধিক যাত্রী বহনের ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
জেলাশাসক ভবানী সিং জানিয়েছেন, নৌকাটিতে ৫৫ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। ১১ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। বেশ কয়েকজন সাঁতরে বেঁচেছেন। ১৯টি দেহ উদ্ধারের কথাও জানিয়েছেন তিনি। বাকি দেহগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে।
নৌকা দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। দিল্লি-শাহারানপুর সড়কে পাথর ছুঁড়তে থাকেন তারা। একটি ট্রাক ও পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের অপর একটি গাড়ি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম এবং পুলিশের একাধিক প্রতিনিধি স্থানীয় মানুষের হামলায় জখম হয়েছেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, উদ্ধারকারী দল অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উদ্ধারকারীদলের কাজের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন করেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, শুধুমাত্র জাল দিয়ে দেহ উদ্ধারে ব্যস্ত ছিলেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। গ্রামবাসীদের সাহায্যেই জীবিতদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। প্রশাসন উদ্ধার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতেই, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, কাছের ব্রিজটি ১৮ কিমি দূরে। সেইজন্য প্রতিদিনই প্রায় ৬০০ মানুষ সারাদিনে নৌকা করেই নদী পাড় হয়ে থাকেন। বেশি টাকার আশায় নৌকায় বেশি যাত্রী তোলারও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নৌকাটিতে বেশির ভাগ মহিলা যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হরিয়ানার সোনেপত-এ দৈনিক কাজের খোঁজে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবারবর্গকে দুলক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান বাগপতের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিং।