সন্ত্রাস-রিগিংয়ের আবহেই বাংলায় ভোট পড়ল ৮২.৫০ শতাংশ
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেছেন, কোথায় কোথায় সন্ত্রাস হয়েছে, বুথ জ্যাম হয়েছে ইত্যাদির তালিকা নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশকে পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে বামেরা নয়াদিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পতের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সন্ধেবেলা একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "এই দফায় নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে পারেনি। ন'টি লোকসভা আসনের অন্তর্গত বিভিন্ন বুথে আমরা পুনর্নির্বাচন চেয়েছি। আজ যা হল, আশা করি সেটা দেখে পরবর্তী দফায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।" কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "বারবার বলা সত্ত্বেও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। লাভপুর, বর্ধমান, রায়না ইত্যাদি জায়গায় কিছু বুথে সাধারণ মানুষ ঢুকতেই পারেনি। এক তরফাভাবে তৃণমূলের লোকজন ভোট দিয়েছে।"
তবে সব শুনে পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশের সাফাই, "যা অভিযোগ এসেছে, বেশির ভাগই মিথ্যে। ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে কি না জানি না, তবে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।" প্রশ্ন উঠেছে, শান্তিপূর্ণ না হলে সুষ্ঠু ভোট কীভাবে হবে? এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।
এই দফায় নয়টি আসনে লড়ছেন ৮৭ জন প্রার্থী। ভোটদাতা হলেন ১৩,৯৫৭,৩৮১ জন।
(বাকি দেশেও ৮০টি আসনে চলছে সপ্তম দফার ভোটপর্ব। তাজা খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন)
হাওড়া
এখানে লড়াইটা দ্বিমুখী। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম সিপিএমের শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। প্রসূনবাবু ২০১৩ সালে এখান থেকেই উপনির্বাচনে জিতে লোকসভায় যান। আশা, এবারও জিতবেন। বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে অভিনেতা জর্জ বেকারকে। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রচুর হিন্দিভাষী মানুষের বাস। এই ভোটের একটা বড় অংশ জর্জ বেকার টানবেন বলে অনুমান। তবে জেতার সম্ভাবনা নেই।
আমতার আজহার বিদ্যালয়ের ১৮৩ এবং ১৮৪ নম্বর বুথে সকাল সাড়ে ন'টায় শেষ ভোট। ভোট পড়ল ১০০ শতাংশ! ভোটার ছিলেন ৬৮০জন। এখানে বিরোধী এজেন্টদের বুথে বসতেই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন।
শালিমারে বিপ্লব দে ও মহম্মদ মান্নান নামে দুই যুবককে প্রচণ্ড মারল তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু কর্মী। কেন তারা ভোট দিতে গিয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে পেটানো হল।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২১.৩৫
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৪০.১৬
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪৫.২১
শতাংশ।
বিকেল
তিনটে
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬২.৫৬
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭১.৯২
শতাংশ।
সন্ধে
ছ'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭৩.৪৩
শতাংশ।
উলুবেড়িয়া
এখানেও লড়াইটা দ্বিমুখী। তৃণমূল কংগ্রেসের সুলতান আহমেদ এবং সিপিএমের সবিরউদ্দিন মোল্লা। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৯৮,৯৩৬ ভোটে জিতেছিলেন সুলতাম আহমেদ। শুধু শহর নয়, গ্রামাঞ্চলও পড়ছে এই লোকসভা আসনের আওতায়। ফলে কৃষি-সংক্রান্ত নানা ইস্যু ফ্যাক্টর হবে বলে ধারণা।
এখানকার মহাদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাটানি গুজরাতি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঈশ্বরীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্বৃত্তরা দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষ জানান, ভোট দিতে গেলে তাঁদের 'দেখে নেওয়া হবে' বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২৬.০৭
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৩৯.৭২
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৫৮.৮৬
শতাংশ।
বিকেল
তিনটে
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭১
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭৮
শতাংশ।
সন্ধে
ছ'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৮১.১১
শতাংশ।
শ্রীরামপুর
এই আসনের দিকে সবার নজর। ২০০৯ সালে এখান থেকে জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সিপিএমের শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায়কে ১৩৭,১৯০ ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার কল্যাণবাবুর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের তীর্থঙ্কর রায়। আর যে দলকে প্রথমে কেউ ধর্তব্যেই আনেনি, সেই বিজেপি কপালে ভাঁজ বাড়িয়েছে। এখানে বিজেপি টিকিটে লড়ছেন বাপি লাহিড়ী। রিষড়া এবং হিন্দমোটরের বিপুল সংখ্যক হিন্দিভাষী মানুষের ভোট পুরোটা বিজেপি টানতে পারে বলে ধারণা। কংগ্রেস এখানে বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নানকে প্রার্থী করলেও তিনি দৌড়ে অনেক পিছিয়ে।
এদিকে, ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরই অভিযোগ ওঠে, হাওড়া জেলার বামনগাছি গার্লস স্কুলের ১৬০ নম্বর বুথে সিপিএম এজেন্টদের বেধড়ক পিটিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। উত্তরপাড়ার কানাইপুর কলোনিতে এক সিপিএম কর্মীর কান কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। জখম ব্যক্তির নাম অরবিন্দ পাল। এ ছাড়া বিভিন্ন বুথে সন্ত্রাসের অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করলেন আব্দুল মান্নান।
বিকেলে উত্তরপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিজেপি সমর্থকদের। জখম হন পাঁচজন। এলাকায় পুলিশবাহিনী টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া এই লোকসভা কেন্দ্রে অন্তর্গত জাঙ্গিপাড়া, বিলাসপুর, রশিদপুর ও দোগাছায় দুপুরের পর তৃণমূল কংগ্রেস বুথ দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মেলেনি।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২৪.২৫
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৪০.৬০
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৫৮.৪৭
শতাংশ।
বিকেল
তিনটে
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৮.২৪
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭২.৫১
শতাংশ।
সন্ধে
ছ'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭৭.০৬
শতাংশ।
হুগলী
একদা বামদুর্গ হুগলী থেকে গতবার জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও দলের টিকিটে এখান থেকে দাঁড়িয়েছেন রত্না দে নাগ। তিনি ২০০৯ সালে ৮১,৫২৩ ভোটে হারিয়েছিলেন সিপিএমের রূপচাঁদ পালকে। এবার রূপচাঁদবাবু দৌড়ে নেই। দাঁড়িয়েছেন প্রদীপ সাহা। লড়াইটা স্পষ্টত দ্বিমুখী। রত্না দে নাগ বনাম প্রদীপ সাহা। বিজেপি-র চন্দন মিত্র কিছু ভোট কাটবেন, তবে বেগ দেবেন না।
চন্দন মিত্র অভিযোগ করেছেন, ধনেখালিতে ৯৬, ৯৭, ১০৫, ১১০, ১১১, ১২২, ১২৩ নম্বর বুথে ভোটারদের ভোট দিতে দেয়নি শাসক দলের লোকজন। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২১.৩৯
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৪৩.৫৩
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৬৪.০৩
শতাংশ।
বিকেল
তিনটে
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭১.৮৭
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮০.১৮
শতাংশ।
সন্ধে
ছ'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৮২.৫৬
শতাংশ।
আরামবাগ
গতবার হুগলী জেলায় এই আসনটি মান বাঁচিয়েছিল বামফ্রন্টের। সিপিএম প্রার্থী শক্তিমোহন মালিক জিতেছিলেন ২০১,৫৫৮ ভোটে। এবারও তিনিই প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের অপরূপা পোদ্দার। এবার এই আসন ছিনিয়ে নেওয়াটা তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, এই আরামবাগ থেকেই বরাবর রেকর্ড ভোটে জিততেন সিপিএমের অনিল বসু। তখন অবশ্য বিস্তর সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠত অনিলবাবুর বিরুদ্ধে।
খানাকুলের পলাশপাই গ্রামের একটি বুথে ভোটারদের ধমক দিয়ে ভাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ভয়ে কেউ দাঁড়াতেই পারলেন না লাইনে। হিরল এলাকার চণ্ডীবাটিতে বুথের ভিতর ঢুকে ভোটকর্মীদের ভয় দেখিয়ে ইভিএম ছিনিয়ে নেয় শাসকদলের লোকজন।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২৬.১১
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৪৬.৫১
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৬৫.০৪
শতাংশ।
বিকেল
তিনটে
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭৭.০৯
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮১.৮১
শতাংশ।
সন্ধে
ছ'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৮৪.২৫
শতাংশ।
বর্ধমান পূর্ব
এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দ্বিমুখী। সিপিএমের ঈশ্বরচন্দ্র দাশ বনাম তৃণমূল কংগ্রেসের সুনীল মণ্ডল। ২০০৯ সালে মমতা-হাওয়া থাকা সত্ত্বেও সিপিএমের অনুপকুমার সাহা জিতেছিলেন ৫৯,৪১৯ ভোটে। তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, তারা এবার ছিনিয়ে নেবে এই আসন।
সকালেই কুড়ুলগ্রামে সিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেসের মারামারি হয়। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। রায়না, পূর্বস্থলীর বিভিন্ন বুথে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা। কাঠগড়ায় সেই তৃণমূল কংগ্রেস। বিকেলে কালনার নিশ্চিন্দপুরে সিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেস সংঘর্ষ হয়। অন্তত ১০ জন গুরুতর জখম হন। তাঁদের কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২৫.৮২
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৪৯.৫১
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৬২.৬২
শতাংশ।
বিকেল
তিনটে
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭৪.১৬
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮৩.৯৮
শতাংশ।
সন্ধে
ছ'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৮৫.৪৮
শতাংশ।
বর্ধমান-দুর্গাপুর
দ্বিমুখী লড়াই হচ্ছে সিপিএমের সাইদুল হকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মমতাজের। কৃষি ও শিল্পাঞ্চল, উভয়ই রয়েছে এই লোকসভা কেন্দ্রে। ২০০৯ সালে এই সাইদুল হক-ই জেতেন এক লক্ষের বেশি ভোটে। সেবার সারা রাজ্যে সিপিএম কুপোকাৎ হলেও এই আসনটি তাদের মানসম্মান বাঁচিয়েছিল।
বিভিন্ন বুথে তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস চালাচ্ছে, এই অভিযোগে বর্ধমান শহরে জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসে সিপিএম। দুর্গাপুরে ভোট দিতে আসায় এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রীয়ে সামনেই পেটায় তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২৪.০৩
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৪৭.০৭
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৬১.৮৮
শতাংশ।
বিকেল
তিনটে
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭৩.২৬
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮১.৮১
শতাংশ।
সন্ধে
ছ'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৮৩.৭৪
শতাংশ।
বোলপুর
দ্বিমুখী লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের রামচন্দ্র ডোম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অনুপম হাজরা। ২০০৯ সালে ১২৬,৮৮২ ভোটে জিতেছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সাল থেকে একটানা জিতে আসছেন তিনি। এই আসনটি নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবুও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের হাল না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
বুধবার
সকালেই
তৃণমূল
কংগ্রেসের
বিরুদ্ধে
বুথ
দখলের
অভিযোগ
উঠল।
কুস্টিকুড়ি
ও
মাকড়া
গ্রামে
সিপিএম
এজেন্টদের
বুথ
থেকে
মারধর
করে
তারা
বের
করে
দেয়।
সিপিএম
প্রার্থী
রামচন্দ্র
ডোমের
অভিযোগ,
এখানকার
৮০
শতাংশ
বুথই
দখল
করে
নিয়েছে
তৃণমূল
কংগ্রেসের
কর্মীরা।
এই
কেন্দ্রের
অন্তর্গত
কেতুগ্রাম-১
নম্বর
ব্লকে
৪৪টি
এবং
কেতুগ্রাম-২
নম্বর
ব্লকে
৪টি
বুথ
দখল
করে
নেওয়া
হয়েছে।
এই
কেতুগ্রামের
আগরডাঙাতেই
৪১
এবং
৪২
নম্বর
বুথে
ভোটারদের
লক্ষ্য
করে
বোমা
ছোড়ে
তৃণমূল
কংগ্রেসের
কর্মীরা।
যদিও
কেউ
হতাহত
হননি।
সাংবাদিকরা
ছবি
তুলতে
গেলে
তাঁদের
ক্যামেরা
কেড়ে
নেওয়ার
অভিযোগ
উঠেছে
পুলিশের
বিরুদ্ধে।
এই
ব্লকের
পাণ্ডুতলাতে
দুপুরে
সিপিএম
এজেন্টদের
মারধর
করে
বুথ
থেকে
বের
করে
দেয়
তৃণমূল
কংগ্রেসের
লোকজন।
স্থানীয়
তৃণমূল
নেতা
জাহির
শেখ
এই
হামলায়
নেতৃত্ব
দেন
বলে
অভিযোগ।
ময়ূরেশ্বরের
কামারহাটি
গ্রামের
১৪৬
নম্বর
বুথে
ভোট
দিতে
আসায়
এক
বৃদ্ধা
ও
তাঁর
ছেলেকে
রাস্তায়
ফেলে
মারধর
করা
হয়।
কেতুগ্রামের পালিতা গ্রামের মানুষের অভিযোগ, সিপিএমকে ভোট দেওয়ায় হুমকি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাতে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলকোটে ৬৯ নম্বর বুথের ভিতরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ভোটারদের নির্দেশ দিচ্ছিলেন, জোড়াফুলে ভোট দিতে। এই খবর জানাজানি হতেই সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম অভিযোগ করেছেন, "নির্বাচন কমিশনের একাংশের মদতেই রিগিং চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বারবার বলা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২৫.৯১
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৪৯.৬৮
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭০.১২
শতাংশ।
বিকেল
তিনটে
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭৩.১২
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮১.৮৩
শতাংশ।
সন্ধে
ছ'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৮৪.৯০
শতাংশ।
বীরভূম
সিপিএমের কামনে ইলাহির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের। সিপিএমের খাসতালুক বীরভূমে ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে শতাব্দী রায় জিতেছিলেন ৬১,৬১৯ ভোটে। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখানে চরমে। দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শতাব্দীর সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। তার মাশুল চোকাতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দলের একাংশ।
সিউড়ির পতণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকর্মীদের ভয় দেখিয়ে ইভিএমের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিকরা এই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তাঁদের নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুবরাজপুরের লোবা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য ভোটারদের বলে দেন, তাঁর দলকে ভোট দিতে। তিনি বুথের মুখে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আশপাশে ছিল না কেন্দ্রীয় বাহিনী। সাংবাদিকরা এই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, "কেষ্টদা (অনুব্রত মণ্ডল) বলে দিয়েছেন, তাই এসেছি।"
সদাইপুরে একটি বুথে ভোটারদের ওপর বোমা ছোঁড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্বৃত্তরা। এতে চারজন ভোটার গুরুতর জখম হয়েছেন।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২৪.১০
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৪৭.৭০
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৬৪.০২
শতাংশ।
বিকেল
তিনটে
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭২.৩৩
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮২.২৫
শতাংশ।
সন্ধে
ছ'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৮৪.৭০
শতাংশ।