আহমেদাবাদ সিরিয়াল বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা
আহমেদাবাদ সিরিয়াল বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা
আহমেদাবাদের সিরিয়াল বিস্ফোরণের মামলায় ৩৮ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল আদালত। মোট ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গুজরাতের বিশেষ আদালত আজ সাজা ঘোষণা করে। বাকি ১১জন দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০৮ সালে আহমেদাবাদে সিরিয়াল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিল তারা।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা
২০০৮ সালের আহমেদাবাদে সিরিয়াল বিস্ফোরণের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল গুজরাতের বিশেষ আদালত। আগেই এই ঘটনায় ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। তাঁদের আজ সাজা ঘোষণার কথা ছিল। সকাল থেকেই সেকারণে আদালত চত্ত্বরে ছিল টানটান উত্তেজনা। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় আদালত। এজলাসে দোষীদের নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপরেই বিচারক সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ৪৯ জন দোষীর মধ্যে ৩৮ জনকে মৃত্যু দণ্ডের সাজা দিয়েছে বিচারক। বাকি ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
কোন কোন ধারায় সাজা ঘোষণা
২০০৮ সালে আহমেদাবাদে সিরিয়াল বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ৩০২ (খুন), ৩০৭(খুনের চেষ্টা),১২১( দেশের বিরুদ্ধে কাজ বা দেশদ্রোহ), ১২৪এ(উস্কানি) এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই ধারা মেনেই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রথম একসঙ্গে এতজনতে মৃত্যু দণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে কোনও মামলায়। এই মামলাটি গুজরাত হাইকোর্টেও পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে মৃত্যুদণ্ডের সাজা আরও বেশি করে নিশ্চিত করা হবে। সাজা ঘোষণার সময় ভার্চুয়ালি দোষীদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
কী ঘটেছিল ২০০৮ সালে
২০০৮ সালে আহমেদাবাদ শহর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছিল বিস্ফোরণ। শহরের ২১টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ। এই সিরিয়াল বিস্ফোরণের ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল হরকল-উল-জিহাদ নামে এক ইসলামিক সংগঠন। ৭০ মিনিটের মধ্যে একসঙ্গে ২১িট জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। আহমেদাবাদের সরকারি হাসপাতালেও ঘটানো হয়েছিল বিস্ফোরণ।
পুলিশের দাবি
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল এই বিস্ফোরণের ঘটনায জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনও জড়িত ছিল। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সিমিও যুক্ত ছিল এই বিস্ফোরণের ঘটনায়। ২০০২ সালে গোধরা কান্ডের পর থেকেই এই দুই জঙ্গি সংগঠন বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল। এই ঘটনার পর গুজরাতের আহমেদাবাদে ২০টি এফআইআর এবং সুরাতে ১৫টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। মোট ৩৫টি এফআইআরকে একযোগে করে মামলার শুনানি করে গুজরাতের বিশেষ আদালত।
রবি বিষ্ণোইয়ের ভারতীয় দলে স্বপ্নের অভিষেকে গর্বিত পিতা, কোন সিদ্ধান্তকে এখন সঠিক মনে হচ্ছে?