করোনা আবহে বিমান যাত্রায় কতটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে উঠতে পারবেন? নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
লকডাউনের মাঝেই চালু হয়েছে রেল পরিষেবা। ভাবনাচিন্তা চলছে বিমান পরিষেবা চালুরও। মনে করা হচ্ছে ১৭ মে-র পর কিছু অংশে বিমান পরিষেবা চালু করা হবে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই, আগে ভাগে বেশ কিছু বিধিনিষেধের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই নয়া নিয়মে সব থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে বিমানে ওঠার বিষয়ে।
৩৫০ মিলিলিটার করে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অনুমতি
করোনা আবহে বিমান পরিষেবা চালু হলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। বিমানের মাঝের সিট খালি রাখা হবে। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলতে একটি রো-এ ২ জন করে যাত্রীকে আসন দেওয়া হবে। ৮০ বছরের উর্ধ্বে কোনও যাত্রীকে সফরের অনুমতি দেওয়া হবে না। এছাড়া এখন থেকে বিমানে ৩৫০ মিলিলিটার করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে বিমানে উঠতে পারবে।
রিপোর্টিংয়ের সময়ে বদল
এদিকে বিমানবন্দরে ভিড় কমাতে রিপোর্টিংয়ের সময় আরও ২ ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া এখন আর সিআইএসএফ জওয়ানরা বোর্ডিং পাসে স্টাম্প মারবেন না। যাঁদের বিমান ঘণ্টার মধ্যে রয়েছে এমন যাত্রীদেরই কেবল মাত্র বিমানবন্দরের মধ্যে থাকতে দেওয়া হবে। সুরক্ষার খাতিরে টার্মিনালে প্যাসেঞ্জার আইডি চেক করানো হবে না।
বিমানে মাল বহনের ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম
বিমানে মাল বহনের ক্ষেত্রেও বিশেষ নিয়ম করা হচ্ছে। কোনও রকম কেবিল লাগেজ নিয়ে যেতে পারবেন না যাত্রীরা। ২০ কেজির বেশি মাল সঙ্গে নেওয়া যাবে না। বিমান ছাড়ার ৩ ঘণ্টা আগে খুলবে চেক ইন কাউন্টার। আর ৬০ থেকে ৭৫ মিনিট আগে কাউন্টার বন্ধ হয়ে যাবে। বিমানের বোর্ডিং গেট ২০ মিনিট আগেই বন্ধ করে দেওয়া হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক করা হবে। অ্যাপে গ্রিন স্টেটাসের যাত্রীদেরই বিমানে উঠতে দেওয়া হবে।
বিমানে মিলবে না খাবার
বিমানে খাবার দেওয়া হবে না যাত্রীদের। কেবল মাত্র পানীয় জল পাওয়া যাবে। কাপে অথবা বোতলে জল পাওয়া যাবে। বিমানের তিনটে রোয়ের সিট খালি রাখা হবে। হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হবে। বিমানের ক্রু-রা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিয়েই সেই যাত্রীর দেখাশোনা করবেন এবং বিমানের প্রত্যেক যাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত পিপিই থাকবে। বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা যাচাই করা হবে।
মোদীর আর্থিক প্যাকেজে কতটা লাভবান হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা